কান্ডারি: প্রতিবন্ধকতা নিয়েও অদম্য এমবাপে। ছবি: সংগৃহীত।
দেশের জার্সিতে ৮২ ম্যাচে ৪৮ গোল রয়েছে তাঁর নামের পাশে। কিন্তু চলতি ইউরোয় প্রথম ম্যাচে নাকে চোট পাওয়ার পরেই ছন্দ যেন হারিয়ে ফেলেছেন কিলিয়ান এমবাপে। সোমবার বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে পুরো ম্যাচে দলকে চালনা করলেও বেশ কয়েকটি সহজ গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ফরাসি তারকা।
প্রশ্ন উঠছে, ভাঙা নাক বাঁচাতে মুখাবরণ পরেই কি এমবাপে সহজাত গতি হারিয়ে ফেলছেন? ফ্রান্স দলের কোচ দিদিয়ে দেশঁ তা আদৌ মনে করছেন না। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘আমার তো মনে হয়েছে, মুখাবরণ পরে ফুটবল খেলার সঙ্গে নিজেকে ধীরে ধীরে মানিয়ে নিয়েছে এমবাপে।’’ যোগ করেন, ‘‘ইউরোর পরে ওকে হয়তো অস্ত্রোপচার করাতে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আগামী কয়েক সপ্তাহ কেন, ওকে হয়তো এ ভাবে আরও কয়েক মাস খেলতে হতে পারে। ফলে পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারলে এমবাপে উপকৃত হবে। ওর ফুটবল নিয়ে আমি সন্তুষ্ট।’’
তবে মুখাবরণ পরে পুরো ৯০ মিনিট খেলা যে মোটেও সহজ নয়, তা-ও মেনে নিয়েছেন দেশঁ। বলেছেন, ‘‘প্রবল ঘামে স্বাভাবিক ভাবে দম নেওয়া যেমন কঠিন, তেমনই দৃষ্টিশক্তিও ব্যাহত হয়। তার পরেও বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে পুরো ম্যাচে ও যে ভাবে বল তাড়া করে পৌঁছে যাচ্ছিল পেনাল্টি বক্সে, সেটাও প্রশংসার যোগ্য।’’
১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্স দলের প্রাক্তন সদস্য ইমানুয়েল পেতি নিজের দেশের সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘একমাত্র এমবাপে-ই পারে এ ভাবে খেলতে। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, কারও পক্ষে দশ মিনিটের বেশি মুখাবরণ পরে খেলা সম্ভব নয়। ওর থেকে যে গোল আমরা আশা করছি, তা-ও পূরণ হবে।’’
সোমবার বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে দলের ফুটবলে অখুশি নন দেশঁ। বলেছেন, ‘‘হতে পারে আত্মঘাতী গোলে জয় এসেছে, কিন্তু আমরাও প্রচুর গোলের সুযোগ তৈরি করেছি। বেলজিয়াম যে কৌশল নিয়ে খেলতে নেমেছিল, আমাদের দলের ফুটবলারদের ধৈর্য ধরে তার মোকাবিলা করতে হয়েছে। যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছি।’’