তিন ফুটবলারের দিকে তাকিয়ে থাকবেন মোহনবাগান সমর্থকেরা। ছবি: এক্স (টুইটার)।
জাতীয় পর্যায়ে এই মরসুমে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল মুখোমুখি হয়েছে তিন বার। দু’বার জিতেছে লাল-হলুদ। এক বার সবুজ-মেরুন। শনিবার আইএসএলের প্রথম এবং মরসুমের চতুর্থ বড় ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই প্রধান। কলিঙ্গ সুপার কাপে হারা মোহনবাগান এই ম্যাচে বদলা নেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকবে। আন্তোনিয়ো লোপেজ় হাবাসের দলের তিন ফুটবলার ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন।
ব্রেন্ডন হ্যামিল: সুপার কাপ জিতে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকবে ইস্টবেঙ্গল। শনিবারের ম্যাচে ক্লেটন সিলভা, নন্দকুমারদের আটকানো হবে মোহনবাগানের প্রধান লক্ষ্য। সুপার কাপের মাঝে মোহনবাগানের দায়িত্ব নেওয়া হাবাস ঘর আগলে আক্রমণে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তিনি অনেকটাই নির্ভর করবেন হ্যামিলের উপর। অস্ট্রেলীয় ডিফেন্ডার ঠান্ডা মাথায় প্রতিপক্ষের আক্রমণ রুখে দিতে পারেন। তাঁর নিখুঁত ট্যাকল বিপজ্জনক পরিস্থিতি থেকে বাঁচাতে পারে দলকে। মোহনবাগান রক্ষণের অন্যতম ভরসাকে পরাস্ত করতে না পারলে জয়ের মুখ দেখা কঠিন ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে। ৩১ বছরের ডিফেন্ডার মোহনবাগান রক্ষণকে একাধিক কঠিন ম্যাচে ভরসা দিয়েছেন। রক্ষণ থেকে উঠে গোলও করতে পারেন। শনিবার যুবভারতীতেও তিনি সবুজ-মেরুন শিবিরের অন্যতম শক্তি।
দিমিত্রি পেত্রাতোস: অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার এ বারের মোহনবাগান দলের অন্যতম প্রধান অস্ত্র। তাঁকে ঘিরেই গড়ে ওঠে দলের আক্রমণ। মাঝমাঠ থেকে খেলা তৈরি করতে পারেন। বক্সের মধ্যে বিপজ্জনক। পায়ে রয়েছে দূরপাল্লার শট। রয়েছে বিপজ্জনক চোরা গতিও। মোহনবাগানকে বেশ কিছু ম্যাচে উতরে দিয়েছে পেত্রাতোসের ফুটবল দক্ষতা। সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে ৩১টি ম্যাচে ১৫টি গোল রয়েছে তাঁর। প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভাঙতে পারেন পোত্রাতোস। গোলের জন্য মোহনবাগান কোচ অনেকটাই তাকিয়ে থাকবেন তাঁর দিকে।
জেসন কামিংস: ২০২২ সালের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া দলে ছিলেন কামিংস। ২৮ বছরের স্ট্রাইকারের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। কামিংস বক্সের মধ্যে বিপজ্জনক। হাফ চান্স থেকে গোল করতে পারেন। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের বোকা বানাতে পারেন পায়ের কাজে। তাঁকে মূলত পরিবর্ত হিসাবে ব্যবহার করা হয়। দ্বিতীয়ার্ধে তরতাজা অবস্থায় নেমে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন। ভারতীয় ফুটবলের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন কামিংস। শনিবার ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারেন তিনি।
আইএসএলের প্রথম ডার্বিতে মোহনবাগান সদস্য, সমর্থকেরা তাকিয়ে থাকবেন তাঁদের অস্ট্রেলীয় ত্রিফলার দিকে। যাঁরা যে কোনও সময় খেলার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের পায়ে নিয়ে নিতে পারেন। বদলে দিতে পারেন খেলার গতি এবং রং।