চমক: প্রথম ম্যাচে নজর কাড়লেন বেলিংহ্যাম। ছবি: টুইটার।
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে অভিষেক হল জুড বেলিংহ্যামের। লস অ্যাঞ্জেলেসে এসি মিলানের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলল রিয়াল মাদ্রিদ। সে ম্যাচে ৩-২ জেতে কার্লো আনচেলোত্তির দল। ৬২ মিনিটে রিয়াল জার্সিতে মাঠে নামেন ইংল্যান্ডের তরুণ মিডফিল্ডার। প্রথম ম্যাচেই রিয়াল ম্যানেজারের মন জয় করে নেন তিনি।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের আনচেলোত্তি বলেছেন, ‘‘আমরা সত্যি ভাগ্যবান বেলিংহ্যামের মতো একজন ফুটবলারকে সই করাতে পেরে।’’ যোগ করেন, ‘‘ওর বয়স মাত্র ২০ বছর। এখনও বহু বছর ফুটবল খেলবে। রিয়াল মাদ্রিদের পরিবেশে থাকতে থাকতে ও আরও উন্নতি করবে। নিজেকে ও কোন জায়গায় নিয়ে যেতে পারে, ভাবতে পারছেন?’’
মাদ্রিদ এ দিন শুরুতেই পিছিয়ে যায়। ফিকায়ো তোমোরির হেডে এগিয়ে যায় এসি মিলান। দ্বিতীয়ার্ধে খেলা ঘুরতে শুরু করে। ফেদেরিকো ভালভের্দের জোড়া গোলে ম্যাচে ফিরে আসে রিয়াল মাদ্রিদ। লুকা মদ্রিচের থ্রু বল থেকে গোল করে জয় নিশ্চিত করেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। বেলিংহ্যামকে মাঠ জুড়ে খেলতে দেখে মুগ্ধ ম্যানেজার। তাঁর একটি পাস থেকে গোল হয়ে যেতে পারত। কিন্তু বিপক্ষ গোলকিপার দ্রুত বেরিয়ে আসার ফলে বাঁচিয়ে দেন সেই গোল। বেশ কয়েকটি থ্রু বল দিয়েও ম্যানেজারকে মুগ্ধ করেন বেলিংহ্যাম।
আনচেলোত্তি আরও বলেন, ‘‘ওর বল ধরা আর ছাড়া অসাধারণ। কোন জায়গায় কে দাঁড়িয়ে আছে না দেখেই সেই আন্দাজ করে ফেলে। যার ফলে পাস দিতে দেরি করে না। গতিও খুব ভাল। মাঝ মাঠের ফুটবলারের এতটা গতি থাকলে দ্রুত দু’টি বক্সে ওঠানামা করতে পারে। বেলিংহ্যামের মধ্যে সেই দক্ষতা আছে।’’
বেলিংহ্যাম যে অন্যান্য মিডফিল্ডারের চেয়ে আলাদা তাও বলতে দ্বিধাবোধ করলেন না আনচেলোত্তি। তাঁর কথায়, ‘‘ওর খেলা দেখেই বোঝা যায়, বাকি মিডফিল্ডারদের মতো ও নয়। ওকে বাঁ-দিকেও যেমন খেলানো যায়, ডান দিকেও খেলানো যায়। কিন্তু ১০ নম্বর ফুটবলার হিসেবে ওকে খেলানো হলে সব চেয়ে বেশি সুবিধে পাওয়া যাবে। বিপক্ষ গোলের সামনে দ্রুত পৌঁছে যেতে পারবে। ওর মধ্যে গোল করার ক্ষমতা রয়েছে। বিশ্বকাপেও দেখেছি ইংল্যান্ডের হয়ে কি অসাধারণ ফুটবল খেলেছে ও।’’
এসি মিলানের ফুটবলার তোমোরি বলছিলেন, ‘‘ইংল্যান্ডের হয়ে ওর সঙ্গে খেলেছি। সত্যি বলতে ওকে পেয়ে রিয়াল মাদ্রিদ উপকৃত হবে। আজ ২০ মিনিট খেলেছে, তাতেই লস অ্যাঞ্জেলেসের ফুটবলপ্রেমীদের মনে দাগ কেটে গিয়েছে। রিয়ালে মানিয়ে নিতে ওর সমস্যা হবে না। কয়েক জন ফুটবলার ভাল ইংলিশ বলতে পারে।’’