সতর্ক: জিতেও দলের খেলায় সন্তুষ্ট নন জুয়ান। ফাইল চিত্র
ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে টানা আটটি ডার্বিতে জয়ের রাত থেকেই আইএসএলের নক-আউটে ওড়িশা ম্যাচের মানসিক প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন জুয়ান ফেরান্দো। আজ, সোমবার থেকে যুবভারতীতে অনুশীলন শুরু করবেন তিনি।
সাধারণত ম্যাচের পরের দিন ‘রিকভারি সেশন’ থাকে এটিকে-মোহনবাগানে। তার পরে একদিন ফুটবলারদের সম্পূর্ণ বিশ্রাম দেন স্পেনীয় কোচ। তৃতীয় দিন থেকে পরের ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু করেন। এ বারই রীতি ভাঙলেন জুয়ান। রবিবারই পুরো দলকে বিশ্রাম দিলেন তিনি।
যুবভারতীতে আগামী শনিবার (৪ মার্চ) ওড়িশার বিরুদ্ধে খেলবে মোহনবাগান। এই ম্যাচের উপরেই নির্ভর করছে আইএসএলে এই মরসুমে সবুজ-মেরুনের ভবিষ্যৎ। ওড়িশাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে হায়দরাবাদ এফসির (৯ ও ১৩ মার্চ) মুখোমুখি হতে মরিয়া জুয়ান। শনিবার রাতে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে তিনি বলে দিয়েছিলেন, ‘‘নক-আউটে লড়াই অনেক বেশি কঠিন। ৯০ মিনিটের ম্যাচে একটা সামান্য ভুল আমাদের সব স্বপ্ন ভেঙে দিতে পারে। আমাদের মনঃসংযোগ আরও বাড়াতে হবে। ছোটখাটো ভুলও করা চলবে না।’’ সেই ভানা থেকেই কোনও রকম সময় নষ্ট করতে রাজি নন জুয়ান।
শনিবারের ফিরতি ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলকে ২-০ গোলে হারালেও দলের খেলায় বেশ কিছু ভুলভ্রান্তি চোখে পড়েছে জুয়ানের। বলেছিলেন, ‘‘প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল অনেক সঙ্ঘবদ্ধ ছিল। আমাদের খেলার জন্য জায়গা তৈরি করতে বেশ সমস্যা হচ্ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা যখন আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠি, তখন ওদের রক্ষণ ও মাঝমাঠের মধ্যে দূরত্ব ক্রমশ বাড়তে থাকে।’’
ওড়িশার বিরুদ্ধে তার পুনরাবৃত্তি চান না তিনি। শুরু থেকে ইতিবাচক ফুটবল উপহার দিয়ে জয় নিশ্চিত করাই তাঁর প্রধান লক্ষ্য। তাই সোমবার থেকেই অনুশীলনে ভুলভ্রান্তি শুধরে নেওয়ার উপরে জোর দিতে চান জুয়ান। চোটের কারণে ডার্বিতে কার্ল ম্যাকহিউ ছিলেন না। ওড়িশার বিরুদ্ধে কি তিনি খেলতে পারবেন?
সবুজ-মেরুন শিবিরে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, চোটের চেয়েও জুয়ান বেশি উদ্বিগ্ন ছিলেন কার্ল ইতিমধ্যে তিনটি হলুদ কার্ড দেখায়। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ফের যদি তিনি কার্ড দেখতেন, তা হলে ওড়িশার বিরুদ্ধে খেলতে পারতেন না। নক-আউটের আগে ঝুঁকি নেবেন না বলেই কার্লকে না খেলানোর সিদ্ধান্ত নেন মোহনবাগান কোচ!