জনি কাউকো। —ফাইল চিত্র।
কলকাতায় পা রেখেই অবাক জনি কাউকো। তিনি ভাবতে পারেননি, ১৫ মাস পরেও তাঁকে নিয়ে সমর্থকেরা এতটা উন্মাদনা দেখাবেন। দীর্ঘ চোটের পরে মোহনবাগানে ফিরেছেন কাউকো। পুরনো কোচ আন্তোনিয়ো লোপেজ় হাবাসের অধীনে ফিরে ভাল লাগছে ইউরো খেলা ফুটবলারের।
বাগানের জার্সিতে শেষ দু’টি ম্যাচে খেলেছেন কাউকো। দু’টি ম্যাচেই ৬০ মিনিটের পরে তাঁকে নামিয়েছেন বাগান কোচ। বেশি ঝুঁকি নিতে চাননি। তবে যত ক্ষণ খেলেছেন চমক দেখিয়েছেন। হাবাসের অধীনেই বাগান জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল কাউকোর। সে কথা মনে পড়ছে তাঁর। আইএসএলের ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাউকো বলেন, “এখানে আমার প্রথম মরশুমে আমি আন্তোনিও হাবাসের অধীনেই ছিলাম। ওঁর ফুটবল-ভাবনা কী রকম, তা আমি জানি। উনি কী ভাবে দলকে খেলাতে পছন্দ করেন, আমার কাছ থেকে উনি কী চান, তাও জানি। সেটাই করার চেষ্টা করছি। তবে আমার ভূমিকা আগে যে রকম ছিল, সে রকম থাকবে বলে মনে হয় না। দলকে জেতানোর জন্য নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। এটাই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।”
কাউকোর প্রশংসা শোনা গিয়েছে হাবাসের গলাতেও। বাগান কোচ বলেন, “কাউকো একশো শতাংশ ফিট। ১২ মাসেরও বেশি ফুটবল খেলেনি জনি। ও একজন পেশাদার ফুটবলার, আন্তর্জাতিক ফুটবলের অভিজ্ঞতাও ওর আছে। তাই ক্রমশ খেলায় ফিরে আসছে। ওকে একেবারে ৯০ মিনিটের জন্য মাঠে নামানো যাাবে না। ক্রমশ যতটা সম্ভব বেশিক্ষণ ওকে খেলিয়ে ও অনুশীলন করিয়ে আগের জায়গায় নিয়ে আসতে হবে।”
যে ভাবে সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা তাঁর পাশে থেকেছেন তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন কাউকো। কলকাতায় নেমেই অবাক হয়ে গিয়েছেন তিনি। কাউকো বলেন, “সমর্থকেরা যে ভাবে আমাকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন, তাতে আমি অভিভূত। অনেক দিন পরে এই ধরনের কোনও ফুটবল ম্যাচে নামার সময় সমর্থকেরা যে ভাবে আমাকে উৎসাহ জোগান, তাতে আমি সত্যিই খুব খুশি। প্রত্যেক সমর্থকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। মাঠে নামার সময় আমার নাম ধরে চিৎকার করছিল তারা। এতে আমার শক্তি আরও বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে দলের জন্য আরও পরিশ্রম করার উৎসাহ কয়েকগুন বেড়ে গিয়েছে।”
বাগানের হয়ে ভবিষ্যতেও এ ভাবে খেলতে চাইছেন কাউকো। দলকে চ্যাম্পিয়ন করাই তাঁর লক্ষ্য। পুরো দমে অনুশীলন শুরু করেছেম তিনি। কাউকো বলেন, “এখানে এসে মাঠে নামার আগে কয়েক সপ্তাহ অনুশীলন করেছি। তবে ম্যাচ খেলতে নামা অন্যরকম ব্যাপার। ম্যাচে অনেক সময় অন্যরকম কিছু করতে হয়। আমি খুশি। তবে সুযোগ হাতছাড়া করে মোটেই খুশি হতে পারিনি। কামব্যাক ম্যাচে একটা গোল করতে পারলে কত ভাল হত। পরিশ্রম করে যাব। আশা করি, অদূর ভবিষ্যতে আরও ভাল খেলব। দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে হবে।”