Jamshedpur FC

Jamshedpur FC: চিমা-মুগ্ধ ভাইচুং এগিয়ে রাখছেন জামশেদপুরকে

ভাইচুং ভুটিয়া কিন্তু খুব একটা আশাবাদী নন মোহনবাগানকে নিয়ে। তিনি এগিয়ে রাখছেন জামশেদপুরকেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২২ ০৮:১৭
Share:

নায়ক: আট ম্যাচে সাত গোল করে স্বমহিমায় চিমা। ছবি আইএসএল

এটিকে-মোহনবাগান না জামশেদপুর এফসি— অষ্টম আইএসএলে লিগ-শিল্ড জিতবে কারা? এই মুহূর্তে ১৯ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে টেবলের শীর্ষ স্থানে ড্যানিয়েল চিমারা। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন রয় কৃষ্ণরা। লিগ-শিল্ড জিততে হলে সোমবার শেষ ম্যাচে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ন্যূনতম দু’গোলের ব্যবধানে জিততেই হবে তাঁদের। মোহনবাগান কি পারবে জামশেদপুরের জয়রথ থামিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছতে?

Advertisement

ভাইচুং ভুটিয়া কিন্তু খুব একটা আশাবাদী নন মোহনবাগানকে নিয়ে। তিনি এগিয়ে রাখছেন জামশেদপুরকেই। শনিবার সন্ধ্যায় সিকিম থেকে ফোনে আনন্দবাজারকে ভারতীয় ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার বললেন, ‘‘আমার মনে হয়, জামশেদপুরই লিগ-শিল্ড জিতবে। চিমার জন্যই ওদের আটকানো কঠিন।’’ শুক্রবার রাতে ওড়িশা এফসিকে ৫-১ গোলে চূর্ণ করেছে জামশেদপুর। জোড়া গোল করেন চিমা। টানা ছ’টি ম্যাচে জেতা জামশেদপুরের নাটকীয় উত্থানের রহস্য কী? ভাইচুংয়ের মতে জানুয়ারির দলবদলে এসসি ইস্টবেঙ্গল থেকে চিমাকে সই করানোই জামশেদপুরের উত্থানের অন্যতম কারণ।বললেন, ‘‘চিমা যোগ দেওয়ার পরেই জামশেদপুর বদলে গিয়েছে। লিগ টেবলের শীর্ষ স্থানও দখল করেছে। ওরা এ বারের আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হলেও আমি অবাক হব না।’’ যোগ করলেন, ‘‘চিমা জামশেদপুরের হয়ে অনেক খোলা মনে খেলছে। গোল করার জন্য প্রচুর পাস পাচ্ছে এবং তার দুর্দান্ত সদ্ব্যবহার করছে। বিপক্ষের পেনাল্টি বক্সের মধ্যে চিমা ভয়ঙ্কর। গোলটা খুব ভাল চেনে। দারুণ সুযোগসন্ধানী। দু’পায়ে শট রয়েছে। চিমা যোগ দেওয়ায় জামশেদপুরের আক্রমণভাগের শক্তি কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। তা ছাড়া এই দলটার ভারসাম্য খুব ভাল। প্রতিটি বিভাগেই একাধিক ফুটবলার রয়েছে জামশেদপুরের।’’

ভাইচুং হতাশ এসসি ইস্টবেঙ্গলের কর্তাদের চিমাকে মরসুমের মাঝপথে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তেও। বলছিলেন, ‘‘সম্প্রতি রেনেডির সঙ্গে আমার কথা হচ্ছিল। ও বারবার এসসি ইস্টবেঙ্গলের কর্তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিল, চিমাকে ছেড়ে দিলে ভুল হবে। অনুরোধ করেছিল চিমাকে রেখে দেওয়ার জন্য। কিন্তু রেনেডির কথা শোনেননি কেউ। সেই চিমা এখন জামশেদপুরের জার্সিতে মাঠে নেমে ফুল ফোটাচ্ছে।’’ সপ্তাহখানেক আগে আনন্দবাজারকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে চিমা খোলাখুলিই বলেছিলেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গলে যখন ছিলাম, তখন গোল করার জন্য তো যথেষ্ট পাসই পাইনি। জামশেদপুরে সেই সমস্যা নেই।’’

Advertisement

৩০ বছর বয়সি চিমা তিন বার (২০১১, ২০১২ ও ২০১৪) নরওয়ের প্রথম ডিভিশন লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মলডে এফকে-র হয়ে। এর মধ্যে দু’বারই ওয়ে গুন্নার সোলসারের কোচিংয়ে। দু’বার জিতেছেন নরওয়েজিয়ান কাপ। ২০১৩ সালে মলডে এফকে-র সর্বোচ্চ গোলদাতাও ছিলেন চিমা। গোল করেছিলেন ১৩টি। ভারতীয় ফুটবলে তাঁর প্রথম পর্ব অবশ্য সুখের হয়নি। লাল-হলুদ জার্সিতে ১০টি ম্যাচ খেলে মাত্র দু’টি গোল করেছিলেন চিমা। জামশেদপুরে যোগ দেওয়ার পরে ফের স্বমহিমায় তিনি। আটটি ম্যাচে সাতটি গোল করেছেন তিনি। সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার দৌড়েও ঢুকে পড়েছেন। অষ্টম আইএসএলের নক আউট পর্বে চ্যাম্পিয়ন কে হবে? ভাইচুংয়ের কথায়, ‘‘নক আউট পর্বের ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় না। যে কেউ জিততে পারে। তবে জামশেদপুর এখন যে রকম ছন্দে রয়েছে, তাতে ওদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল বলেই আমার ধারণা।’’

মুম্বইয়ের স্বপ্নভঙ্গ: হায়দরাবাদ এফসির কাছে ১-২ গোলে হেরে খেতাবি দৌড় থেকে ছিটকে গেল গত বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই সিটি এফসি। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই শেষ চার নিশ্চিত করে ফেলল কেরল ব্লাস্টার্স।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement