কেরলের ড্র: শনিবার হায়দরাবাদ এফসির কাছে মুম্বই সিটি এফসি হারার সঙ্গে সঙ্গেই শেষ চারে খেলা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল কেরল ব্লাস্টার্সের। এ দিন এফসি গোয়ার সঙ্গে ৪-৪ ড্র করল তারা। হ্যাটট্রিক করেন গোয়ার আইরাম কাব্রেরা। অপর গোলদাতা আইবান ধোলিং। কেরলের হয়ে জোড়া গোল করেন হর্ঘে দিয়াস। একটি করে গোল করেন ভিনসি ব্যারেটো ও আলভারো ভাসকুয়েস।
একাগ্র: জামশেদপুর ম্যাচের প্রস্তুতি কৃষ্ণর। এটিকে-মোহনবাগান
রয় কৃষ্ণ বনাম ড্যানিয়েল চিমা! প্রথম জন আগের ম্যাচে গোল করে ছন্দে ফিরেছেন। দ্বিতীয় জন লাল-হলুদ জার্সি ছেড়ে জামশেদপুর এফসিতে যোগ দিয়ে নাটকীয় প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন। অষ্টম আইএসএলের লিগ-শিল্ড চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণের ম্যাচে আকর্ষণের কেন্দ্রে আজ, সোমবার থাকবে এই দুই তারকার দ্বৈরথই।
এটিকে-মোহনবাগান ও জামশেদপুর ইতিমধ্যেই সেমিফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছে। অথচ দুই দলের ফুটবলার ও কোচের তা নিয়ে যেন কোনও আগ্রহ নেই। তাঁদের পাখির চোখ লিগ-শিল্ড জিতে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা নিশ্চিত করা।
১৯ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের শীর্ষ স্থানে এই মুহূর্তে জামশেদপুর। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে রয়েছে মোহনবাগান। প্রথম লক্ষ্য পূরণ করতে হলে আজ কৃষ্ণদের ন্যূনতম দু’গোলে জিততেই হবে। কারণ, প্রথম পর্বে জামশেদপুরের কাছে ১-২ গোলে হারটাই কাঁটা বিছিয়ে দিয়েছে মোহনবাগানের পথে। চিমাদের অবশ্য এক পয়েন্ট পেলেই চলবে। এমনকি এক গোলের ব্যবধানে হারলেও জামশেদপুরের লিগ-শিল্ডে চ্যাম্পিয়ন হওয়া আটকাবে না।
রবিবার গোয়া থেকে ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে মোহনবাগানের কোচ জুয়ান ফেরান্দো বলেছেন, ‘‘এই ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন আগেও হয়েছিলাম। ২০১৪ সালে ইউরোপা লিগে যোগ্যতা অর্জনের জন্য প্লে-অফে আমাদের ২-০ গোলে জিততেই হত। আমরা সেটাই করেছিলাম। একই ভাবে ২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যোগ্যতা অর্জনের জন্য শেষ ম্যাচে অন্তত ৫-০ গোলে জিততে হত। আমরা জিতেও ছিলাম।’’
অগ্নিপরীক্ষার আগে জুয়ানের চিন্তা বাড়াচ্ছে চিমার বিধ্বংসী ফর্ম ও হুগো বুমোসের চোট। বললেন, ‘‘জানুয়ারি মাস থেকে একেবারে অন্য চিমাকে দেখছি। দারুণ বুদ্ধিমান ফুটবলার। প্রচুর গোল করছে। তা ছাড়া ওদের পিটার হার্টলি, গ্রেগ স্টুয়ার্টও অসাধারণ। জামশেদপুর দারুণ শক্তিশালী ও ভারসাম্যযুক্ত দল।’’
চোটের কারণে আগের ম্যাচে খেলতে পারেননি বুমোস। মোহনবাগান আক্রমণের প্রধান ভরসা জামশেদপুরের বিরুদ্ধেও অনিশ্চিত। জুয়ান বললেন, ‘‘কুঁচকিতে চোট রয়েছে হুগোর। হুগোর পক্ষে এই ম্যাচে খেলা কঠিন বলেই আমার ধারণা।’’ বুমোসের অভাব পূরণ করতে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই তিনি কৃষ্ণের সঙ্গে খেলাতে পারেন ডেভিড উইলিয়ামসকে।
কেরলের ড্র: শনিবার হায়দরাবাদ এফসির কাছে মুম্বই সিটি এফসি হারার সঙ্গে সঙ্গেই শেষ চারে খেলা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল কেরল ব্লাস্টার্সের। এ দিন এফসি গোয়ার সঙ্গে ৪-৪ ড্র করল তারা। হ্যাটট্রিক করেন গোয়ার আইরাম কাব্রেরা। অপর গোলদাতা আইবান ধোলিং। কেরলের হয়ে জোড়া গোল করেন হর্ঘে দিয়াস। একটি করে গোল করেন ভিনসি ব্যারেটো ও আলভারো ভাসকুয়েস।