কনস্ট্যান্টাইন নিজের মতো করে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। সমর্থকদের ক্ষোভ শান্ত করা যায়নি কিছুতেই। ফাইল ছবি
একের পর এক ম্যাচে হার। এগিয়ে গিয়েও গোল হজম করা। দুর্বল রক্ষণ ভাগ। বাকি দুই আইএসএলের মতো এ বারের আইএসএলেও ইস্টবেঙ্গলের দুর্দশার কোনও বদল হচ্ছে না। স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনের মতো কোচ এবং হাতে ভাল ফুটবলার থাকা সত্ত্বেও পরের পর ম্যাচে মুখ থুবড়ে পড়ছে ইস্টবেঙ্গল। অবশেষে গর্জে উঠলেন সমর্থকরা। লাল-হলুদের অনুশীলনে হাজির হয়ে কোচের বিরুদ্ধে উগরে দিলেন ক্ষোভ।
এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে মঙ্গলবার গোয়ায় উড়ে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। গত দুই ম্যাচে ঘরের মাঠে হারতে হয়েছে জামশেদপুর এবং ওড়িশার কাছে। যুবভারতীতে এ মরসুমে মাত্র একটি ম্যাচে জিততে পেরেছে ইস্টবেঙ্গল। রাগে-হতাশায় মাঠে যাওয়াই ছেড়ে দিয়েছেন তাঁরা। আগের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল গ্যালারিতে পাঁচশো দর্শকও ছিলেন না। যুবভারতী স্টেডিয়াম সংলগ্ন অনুশীলনের মাঠে সেই ক্ষোভই আছড়ে পড়ল।
ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলনের সময় ‘কনস্ট্যান্টাইন গো ব্যাক’, ‘কনস্ট্যান্টাইন আপনাকে চাই না’ ধ্বনিতে শোনা গেল মুহুর্মুহু। অনুশীলনের মাঝে কনস্ট্যান্টাইন এসে কথা বলেন বিক্ষুব্ধ সমর্থকদের সঙ্গে। তাঁকে উদ্দেশ্য করে সমর্থকরা বলেন, কেন এ বার কোনও প্ল্যান বি নেই তাঁদের? কেন অনিকেত যাদবকে ছাড়া হল? কেন সুমিত পাসি, ভিপি সুহেরের মতো ফুটবলারকে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দিনের পর দিন?
কনস্ট্যান্টাইন নিজের মতো করে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। সমর্থকদের ক্ষোভ শান্ত করা যায়নি কিছুতেই। বাধ্য হয়ে হাল ছাড়েন কনস্ট্যান্টাইন।
উল্লেখ্য, মরসুম শুরু হওয়ার পরেই এক সাক্ষাৎকারে কনস্ট্যান্টাইন বলেছিলেন, তিনি একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে এগোতে চান। তাঁর হাতে যে দল রয়েছে, তাতে প্রথম ছয়ের মধ্যে শেষ করা সম্ভব নয়। তখনই প্রমাদ গুণেছিলেন সমর্থকরা। দীর্ঘ দিনের জমে থাকা ক্ষোভই এ বার উগরে দিলেন তাঁরা।