ক্লেটনের গোল কাজে দিল না। ছবি: টুইটার
ঘরের মাঠে ম্যাচ এবং এগিয়ে থেকে হার। এ বারের আইএসএলে এই রোগ থেকে আর বেরোতে পারছে না ইস্টবেঙ্গল। ঘরের মাঠে ম্যাচ থাকলে হেরে যাওয়া যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর পরের দিকে গোল হেরে হারটাও আর এক রোগ। শুক্রবার জামশেদপুর এফসি-র কাছে ১-২ গোলে হেরে গেল ইস্টবেঙ্গল। ক্লেটন সিলভা প্রথমার্ধে লাল-হলুদকে এগিয়ে দিলেও দ্বিতীয়ার্ধে গোল করেন সয়ার এবং ঋত্বিক দাস। বাঙালি ঋত্বিকের গোলেই হেরে গেল ইস্টবেঙ্গল।
ইস্টবেঙ্গলের কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন এই ম্যাচের আগেই বলেছিলেন, চাকরি বাঁচাতে তাঁকে এই ম্যাচটা জিততেই হবে। দেখা গেল, সেই পুরনো রোগ থেকে দলকে বেরোতে পারেননি তিনি। ২০ ম্যাচের লিগে ১৩টি ম্যাচ হয়েই গেল। এগিয়ে গিয়ে কী ভাবে ম্যাচ জিততে হয়, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কী ভাবে এক ধরনের খেলা চালিয়ে যেতে হয়, সেটা এখনও দলের ছেলেদের শেখাতেই পারলেন না কনস্ট্যান্টাইন। ডিফেন্সের ভুলে দু’টি এমন গোল ইস্টবেঙ্গল খেল, যা ক্ষমার অযোগ্য। ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টবেঙ্গল থাকল নয়েই। জয়ের পরেই ইস্টবেঙ্গলের পরেই জামশেদপুর। তাদের পয়েন্ট ৯। প্রথম ছয় ক্রমশ দূর হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের থেকে।
ক্লেটনের গোলে ১২ মিনিটেই এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। নাওরেম মহেশের পাস বিপক্ষের গোলকিপার বিশাল যাদবের নাগালের বাইরে দিয়ে যায়। ক্লেটন সামনেই ছিলেন। পিছন থেকে শিকারির মতো এসে বলে পা ছুঁইয়ে গোল করে দেন। এ ছাড়া প্রথমার্ধে মোটামুটি প্রাধান্য ছিল জামশেদপুরেরই। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি তারা।
দ্বিতীয়ার্ধে হ্যারি সয়ারকে নামান জামশেদপুরের কোচ এডি বুথরয়েড। তাতেই সাফল্য মেলে। নামার তিন মিনিটের মধ্যে সমতা ফেরান সয়ার। লালডিনলিয়ানার ক্রস সামলাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ। সয়ার বলের কাছেই ছিলেন। সুযোগ বুঝে গোল করে দেন। জামশেদপুরের দ্বিতীয় গোল ঋত্বিকের। ডান দিক থেকে বক্সে ক্রস ভাসিয়েছিলেন জার্মানপ্রীত সিংহ। ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার বলের নাগাল পাননি। ডিফেন্ডারকে টপকে বলে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন ঋত্বিক।