রহিম আলি গোল করলেন ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে। ছবি: টুইটার
জয় এবং ড্রয়ের পর আবার হারে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। রবিবার চেন্নাইয়িন এফসি-র কাছে ২-০ হেরে গেল স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনের দল। প্রথম ছয়ে ওঠার আর কোনও আশা পড়ে থাকল না লাল-হলুদের। সমর্থকরা এই মরসুমেও কিছু পেলেন না প্রিয় ক্লাবের থেকে। রবিবার এমন দলের কাছে হারল ইস্টবেঙ্গল, যারা শেষ ম্যাচ জিতেছে ডিসেম্বর মাসে।
রবিবার আগাগোড়া জঘন্য ফুটবল খেলেছে ইস্টবেঙ্গল। আগের ম্যাচে নর্থইস্টের বিরুদ্ধে বার বার এগিয়ে গিয়েও জিততে পারেনি তারা। আর এ দিন শুরু থেকেই তাদের খেলায় কোনও ঝাঁজই ছিল না। ইস্টবেঙ্গল দল এত দিনে ক্লেটন সিলভা নির্ভরশীল দল হয়ে গিয়েছে। যে দিন ক্লেটন গোল করবেন, দল জিতবে। যে দিন তিনি আটকে যাবেন, দলও মুখ থুবড়ে পড়বে। রবিবারও তার ব্যতিক্রম হল না। ক্লেটন আটকে দিয়েই জয় তুলে নিল চেন্নাইয়িন।
তিন মিনিটের মাথায় ক্রসবারে লাগে চেন্নাইয়িনের ফালোউ দিয়াগনের শট। এর পর ম্যাচটা আগাগোড়া শাসন করতে থাকে চেন্নাইয়িন। ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্য ভাল যে তারা সেই সময়ে গোল খায়নি। ৩১ মিনিটের মাথায় অসাধারণ একটি সুযোগ নষ্ট করেন ইস্টবেঙ্গলের ভিপি সুহের। জেক জার্ভিসের থেকে পাস পেয়ে নাওরেম সিংহ বল বাড়িয়েছিলেন সুহেরের উদ্দেশে। সুহের ঠিক করে পৌঁছতেই পারেননি। বল মারেন গোলের পাশে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। বক্সের সামান্য বাইরে থেকে ফ্রিকিক নিয়েছিলেন অনিরুদ্ধ থাপা। চেন্নাইয়িনের কোয়ামে কারিকারি হেড করেন। তা লালচুংনুঙ্গার গায়ে লেগে গোলে ঢোকে। এর পর বার বার ইস্টবেঙ্গলের গোলমুখে হানা দিতে থাকে চেন্নাইয়িন। উল্টো দিকে লাল-হলুদ সুযোগ কাজে লাগাতেই পারছিল না। সেই ফাঁকেই ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় চেন্নাইয়িন। খেলার শেষ দিকে গোল করেন বঙ্গসন্তান রহিম আলি। এর আগে তিনি এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে গোল করেছিলেন। এ বার ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধেও গোল করলেন।