শুক্রবারও জিততে পারলেন না ক্লেটনরা। ছবি: টুইটার
আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের হারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত। শুক্রবার আবার ঘরের মাঠে হেরে গেল তারা। হায়দরাবাদ এফসি-র কাছে ০-২ গোলে হারল লাল-হলুদ। গোল করেন জেভিয়ার সিভেরিয়ো এবং আরেন ডি’সিলভা। ১৪ ম্যাচে খেলে ইস্টবেঙ্গলের সংগ্রহ সেই ১২ পয়েন্টই। অন্য দিকে, হায়দরাবাদ পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। প্লে-অফে ওঠার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল তারা।
এক সময় যুবভারতীতে ইস্টবেঙ্গলের খেলা থাকলে ৩০-৪০ হাজার দর্শক মাঠে যেতেন। স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের আনন্দ দিতে বহু দিন আগেই ব্যর্থ হয়েছে। ঘরের মাঠে একের পর এক হার আর মেনে নিতে পারছেন না ভক্তরা। তাই যুবভারতীতে দর্শকও দেখা যাচ্ছে না। শুক্রবারের ম্যাচে শ’পাঁচেক দর্শকও ছিলেন কিনা, বলা মুশকিল।
শুরু থেকেই ম্যাচের দাপট ছিল হায়দরাবাদের। ৯ মিনিটে প্রথম গোল করে তারা। মাঝমাঠে বল হারায় হায়দরাবাদ। তা ফিরে পান মহম্মদ ইয়াসির। সামনে বাঁ দিকে থাকা বোরজা হেরেরাকে পাস দেন। তিনি দুর্দান্ত বল পাঠান সিভেরিয়োর উদ্দেশে। হেডে গোল করেন সিভেরিয়ো। ইস্টবেঙ্গল খেলোয়াড়রা তখন নিজেদের মধ্যেই তর্ক করছেন। কারণ সিভেরিয়োকে কেউ মার্কই করেননি!
কিছু ক্ষণ পরে আবার সুযোগ পান সিভেরিয়ো। নিখিল পূজারির থেকে বল পেয়ে গোলে শট নিয়েছিলেন। গোলকিপার কমলজিতের দৌলতে সে যাত্রা মান বাঁচে ইস্টবেঙ্গলের। ২৭ মিনিটে ফের সিভেরিয়োর প্রয়াস লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ইস্টবেঙ্গল দু’-এক বার প্রতি আক্রমণ করলেও হায়দরাবাদের ডিফেন্স ভাঙতে পারছিল না।
দ্বিতীয়ার্ধেও হায়দরাবাদের দাপট বজায় থাকে। বার্থোলোমিউ ওগবেচে একটি বাইসাইকেল কিকের চেষ্টা করেছিলেন। তবে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। গোল হলে মরসুমের সেরা গোল হতেই পারত। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে আক্রমণ ভাগে একমাত্র কিছুটা চেষ্টা করছিলেন ক্লেটন সিলভা। কিন্তু কাউকে পাশে পাননি। উল্টে ম্যাচ শেষের কিছু ক্ষণ আগে আবার গোল খেয়ে বসে ইস্টবেঙ্গল। ওগবেচের পাস পেয়ে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণকে বিভ্রান্ত করে গোল করেন আরেন ডি’সিলভা।