East Bengal FC

ডার্বি দেখতে গিয়ে প্রয়াত সমর্থককে বেঙ্গালুরু-জয় উৎসর্গ করলেন লাল-হলুদ কোচ

একের পর এক ম্যাচে হার, কটাক্ষ সহ্য করেই চলেছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। বেঙ্গালুরুর মতো কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে তাদেরই মাঠে জয়ের পর আবেগ চেপে রাখতে পারেননি তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২২ ১৯:০৭
Share:

বেঙ্গালুরুতে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের উচ্ছ্বাস। ছবি: টুইটার

কলকাতা ডার্বি দেখতে গিয়ে বাড়ি ফেরা হয়নি বাগুইআটির সমর্থক জয়শঙ্কর সাহার। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে প্রয়াত সেই লাল-হলুদ সমর্থককেই জয় উৎসর্গ করলেন কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন। পাশাপাশি এটাও জানালেন, দলের জয়ে তিনি খুশি।

Advertisement

বেঙ্গালুরু ম্যাচ জিতে স্টিভন বলেছেন, “জয়শঙ্করের স্ত্রী-কন্যা রয়েছে। এই জয় ওর জন্যেই। আমি খুশি। এমনিতে হারলে আমি খুব হতাশ হই না। জিতলেও খুব উত্তেজিত হয়ে পড়ি না। যোগ্য দল হিসাবেই আজ আমরা জিতেছি। ভাল ফুটবল খেলেছি। গত পাঁচ সপ্তাহ ধরে বলছি আমাদের নতুন দল। কিন্তু আর সে কথা বলতে চাই না। এই জয় প্রমাণ করল আমরা ঠিক দিকেই যাচ্ছি।”

এ দিকে, ম্যাচের পরেই পরেই ক্যামেরা ধরেছিল গ্যালারির দুই সমর্থককে। হাউ হাউ করে কাঁদছিলেন তাঁরা। বার বার মুছছিলেন চোখের জল। তাতেও থামানো যাচ্ছিল না। আশেপাশের সমর্থকরাও আবেগপ্রবণ ছিলেন। বোঝাই যাচ্ছিল, কঠিন ম্যাচে এই জয় কতটা আবেগপ্রবণ করে দিয়েছে সমর্থকদের। পরের পর ম্যাচে হার, কটাক্ষ তাঁরা সহ্য করেই চলেছিলেন। বেঙ্গালুরুর মতো কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে তাদেরই মাঠে জয়ের পর আবেগ চেপে রাখতে পারেননি তাঁরা।

Advertisement

কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে ম্যাচের আগেই হাজির হয়েছিলেন প্রচুর সমর্থক। বেঙ্গালুরুর টুইটার অ্যাকাউন্টে লাল-হলুদ সমর্থকদের কটাক্ষ করে লেখা হয়, তাঁরা একটি বাস্কেটবল দলের টিম বাসকে ইস্টবেঙ্গলের ভেবে নাচানাচি শুরু করে দেন। মাঠে ফুটবলাররা সেই কটাক্ষের জবাব দেন। পরে ইস্টবেঙ্গলের তরফে পাল্টা টুইট করে লেখা হয়, বাস্কেটবল দলই হোক ফুটবল দল, নাচানাচি করা কাজে দিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই বেঙ্গালুরুকে সেই কটাক্ষ হজম করতে হয়েছে।

শুক্রবার বেঙ্গালুরুর মাঠে ক্লেটন সিলভার একমাত্র গোলে জেতে ইস্টবেঙ্গল। জয়ের ফলে অষ্টম স্থানে উঠে আসে ইস্টবেঙ্গল। ৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৬। প্রথমার্ধে বেশি ভাল খেলতে দেখা যায় বেঙ্গালুরুকেই। ৭ মিনিটে সুনীল ছেত্রীর শট পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। তার কিছু ক্ষণ পরেই আচমকা সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। দূর থেকে কারালাম্বোস কিরিয়াকুর শট অল্পের জন্যে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি এক বার পেনাল্টির আবেদন করে ইস্টবেঙ্গল। বক্সের মধ্যে ক্লেটনকে ফেলে দিয়েছিলেন সন্দেশ জিঙ্ঘন। তবে রেফারি তাতে সাড়া দেননি।

দ্বিতীয়ার্ধে বেঙ্গালুরুকে দেখে ছন্নছাড়াই মনে হয়েছে। বল নিয়ন্ত্রণ একেবারেই ভাল হচ্ছিল না তাঁদের। প্রচুর মিসপাস দেখা যায় সুনীল, কৃষ্ণদের খেলায়। তার সুযোগ নিয়ে প্রতিআক্রমণ তুলে আনে ইস্টবেঙ্গল। ৬৯ মিনিটে এগিয়ে যায় তারা। বেঙ্গালুরুর কর্নার প্রতিহত করে ইস্টবেঙ্গল। মাঝ মাঠের আগে বল পেয়ে যান ইভান গঞ্জালেস। তিনি দৌড়তে দৌড়তেই পাস দেন বাঁ দিকে থাকা নাওরেম মহেশকে। বেঙ্গালুরুর একটিও ফুটবলার তখন নিজেদের অর্ধে ছিলেন না। ডান দিকে উঠে আসছিলেন ক্লেটন। বক্সের কাছাকাছি নাওরেমের পাস পেয়ে সহজেই জালে জড়ান ক্লেটন। গোল বাঁচানো সম্ভবই ছিল না গুরপ্রীত সিংহ সান্ধুর পক্ষে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement