ISL 2022-23

ডার্বি জয়ের উচ্ছ্বাস নেই, মোহনবাগান কোচের মাথায় এখন থেকেই ঘুরছে মুম্বই ম্যাচ

কে বলবে মরসুমে প্রথম ম্যাচে চেন্নাইয়িনের কাছে হারের পর তাঁর চাকরি চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। এক সময় জানতেনই না ডার্বিতে তিনি কোচ থাকবেন কিনা। সেই ফেরান্দোই ডার্বি জয়ের পর অসম্ভব নিষ্পৃহ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২২ ০০:৪৯
Share:

দল জিতলেও এখনও উন্নতির রাস্তা খোলা রয়েছে বলে মনে করেন ফেরান্দো। ফাইল ছবি

দেখে কে বলবে সবে তাঁর দল ডার্বি জিতেছে। সাংবাদিক বৈঠকে এসে একটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পর কিছুটা অন্যমনস্ক হয়ে গেলেন। পাশে বসা ম্যাচের সেরা ফুটবলার হুগো বুমোস সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অনর্গল কথা বলে চলেছেন। তিনি কখনও দাঁত দিয়ে নখ কাটছেন, কখনও এ দিক-ও দিক তাকাচ্ছেন। হঠাৎ এক সাংবাদিকের প্রশ্ন আসতেই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলেন। কারণ, প্রশ্নটি তিনি শুনতেই পাননি। ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গিতে বললেন, “আসলে আমি তো মুম্বই ম্যাচ নিয়ে ভাবতে শুরু করে দিয়েছি। তাই কিছু শুনতে পাইনি।”

Advertisement

জুয়ান ফেরান্দোর কথা শুনে তখন ঘরে হাসির রোল। কে বলবে মরসুমে প্রথম ম্যাচে চেন্নাইয়িনের কাছে হারের পর তাঁর চাকরি চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। এক সময় জানতেনই না ডার্বিতে তিনি কোচ থাকবেন কিনা। কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে জয় তাঁকে এবং দলকে লাইফলাইন দেয়। ডার্বিতে জয় সেটাকে আরও অনেকটা বাড়িয়ে দিল।

তিনি কম কথারই মানুষ। ডার্বি নিয়ে তাই বেশি কথা বলতেই চাইলেন না। ফেরান্দোর কথায়, “পরের ম্যাচে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে খেলতে নামব। এখন থেকেই এটা নিয়ে ভাবতে শুরু করে দিয়েছি। ঘড়ি দেখুন, কিছু ক্ষণ পরেই ১২টা বেজে যাবে। তার মানে একটা নতুন দিন শুরু হয়ে যাবে। তখন আর পুরনো জিনিস নিয়ে ভেবে লাভ নেই। ডুরান্ড কাপে আমরা ভাল ফল করতে চেয়েছিলাম। এএফসি কাপেও সেমিফাইনালে উঠতে চেয়েছিলাম। কোনওটাই হয়নি। যে কারণে আমরা একটা সময় প্রচণ্ড হতাশ হয়ে পড়ি। তবে আইএসএল আমাদের কাছে একটা নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে।”

Advertisement

জিতলেও এখনও উন্নতির রাস্তা খোলা রয়েছে বলে মনে করেন ফেরান্দো। তাঁর কথায়, “ম্যাচটা কঠিন ছিল তা নিয়ে সন্দেহ নেই। ইস্টবেঙ্গল আমাদের একটুও জায়গা দিচ্ছিল না। সেখানে জায়গা খুঁজে নিয়ে গোল করাটা খুব দরকারি ছিল। তা ছাড়া গোটা মরসুমে আমাদের বিভিন্ন মাঠে খেলতে হচ্ছে। বড় মাঠ, ছোট মাঠ, দু’জায়গায় খেলা সমান নয়। মানসিকতা বদলাতে হয়।”

তাঁর সংযোজন, “পেশাদার ফুটবলে সব সময়েই উন্নতি করতে হয়। ফলে কে কখন মাঠে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা খুবই জরুরি। আমি মনে করে, কোনও ফুটবলারের সময়জ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ। এই জায়গায় আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। তবে আজকে ছেলেদের খেলায় খুশি। কারণ ওরা আগের থেকে উন্নতি করেছে। পর পর দুটো জয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।”

বুমোসকে নিয়ে আলাদা করে প্রশংসা করলেন না। তবে আর এক গোলদাতা মনবীরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ফেরান্দো। বললেন, “মনবীর রোজ খুবই কাটছে। অনুশীলনে নিজেকে নিংড়ে দিচ্ছে। এটাই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আগের থেকে অনেক ভাল খেলছে। অনেক ভাল পজিশনিং হয়েছে। বল এবং খেলা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে। অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রম করে। আগামী দিনে আরও ভাল খেলবে এই আশা করি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement