এটিকে মোহনবাগানের হয়ে গোল করলেন হুগো বুমোস। —ফাইল চিত্র
এটিকে মোহনবাগান (১) - জামশেদপুর এফসি (০)
জামশেদপুর এফসি-কে ১-০ গোলে হারিয়ে তিন পয়েন্ট তুলে নিল এটিকে মোহনবাগান। আইএসএলে জয়ের হ্যাটট্রিক করল সবুজ- মেরুন। যুবভারতীতে ৯০ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে জয় এনে দিলেন হুগো বুমোস।
গত বারের জামশেদপুর এফসির সঙ্গে এ বারের দলের অনেক তফাত। দুরন্ত ছন্দে ছিল তারা। এ বার লিগ টেবিলে দশম স্থানে তারা। ৯ ম্যাচে ৭টি হেরে সংগ্রহ মাত্র ৪ পয়েন্ট। সেই দলের বিরুদ্ধে যদিও জয় পেতে ৯০ মিনিট অপেক্ষা করতে হল জুয়ান ফেরান্দোর দলকে। শুরু থেকে আক্রমণ করলেও গোল আসেনি। ৫ মিনিটের মাথায় লিস্টন কোলাসোর বক্সের বাইরে থেকে মারা শট আটকে যায়। ৯ মিনিটের মাথায় আশিস রাইয়ের শট থেকে গোল আসেনি। গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন প্রীতম কোটাল। কিন্তু তাঁর হেড গোলের মধ্যে রাখতেই পারেননি।
বল দখলের লড়াইয়ে মোহনবাগানের সঙ্গে পাল্লা দিল জামশেদপুর। যদিও শেষ পর্যন্ত ৫৬ শতাংশ বল ছিল সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের পায়ে। গোলে ১৪টি শট নেন তাঁরা। এর মধ্যে ৮টি শট গোলের মধ্যে ছিল। অন্য দিকে, জামশেদপুর গোলে ৯টি শট নিলেও জায়গায় ছিল মাত্র ৩টি। একটা সময় মনে হচ্ছিল ড্র হয়ে যাবে ম্যাচ। ঘরের মাঠে পয়েন্ট খোয়াতে হবে বাগানকে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি বক্সের মধ্যেই ফাউল করে ফেলেন জামশেদপুরের পিটার হার্টলে। কিয়ান নাসিরিকে ফাউল করেন তিনি। লাল কার্ড দেখতে হয় হার্টলেকে। পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি বুমোস। ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি।
এ বারের আইএসএলে ৯টি ম্যাচ খেলা হয়ে গেল মোহনবাগানের। ৬টি ম্যাচে জয় এবং একটি ড্র করে ১৯ পয়েন্ট পেয়ে গিয়েছে তারা। লিগ টেবিলে তৃতীয় স্থানে সবুজ-মেরুন। শীর্ষ স্থানে থাকা মুম্বই এফসির থেকে ২ পয়েন্ট কম। ৯ ম্যাচ খেলে মুম্বইয়ের সংগ্রহ ২১ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা হায়দরাবাদও ৯টি ম্যাচ খেলেছে। তাদেরও সংগ্রহ ১৯ পয়েন্ট। গোল পার্থক্যে এগিয়ে রয়েছে তারা। তৃতীয় স্থানে থাকা মোহনবাগানের ঘারের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে ওড়িশা। সবুজ-মেরুনের থেকে এক ম্যাচ কম খেলে ১৮ পয়েন্ট পেয়েছে তারা।
মোহনবাগানের পরের ম্যাচ ১৫ ডিসেম্বর। ওড়িশার বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে জিতে ওড়িশাকে পিছনে ফেলে দিতে চাইবেন বুমোসরা।