জয়ের পর এটিকে মোহনবাগান। ছবি: টুইটার থেকে
গোল করলেনও তিনি। আবার গোল করার সহজ সুযোগ হেলায় হারালেনও তিনি। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ঘটনার নাম লিস্টন কোলাসো। ম্যাচের সেরাও তিনিই। মঙ্গলবার তিন পয়েন্ট এনে এটিকে মোহনবাগানকে চতুর্থ স্থানে তুললেন কোলাসো।
লিগ শীর্ষে থাকা হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার খেলতে নেমেছিল সবুজ-মেরুন। প্রথমার্ধে একাধিক ফুটবলারের চোট চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল দলকে। চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন হুগো বুমোস এবং কার্ল ম্যাকহিউ। তাঁদের বদলে মাঠে নামেন জনি কাউকো এবং ডার্বির নায়ক কিয়ান নাসিরি। আগের ম্যাচে প্রশ্ন উঠেছিল তাঁকে দেরি করে নামানো নিয়ে। এ দিন প্রথমার্ধেই পরিবর্ত হিসাবে নামেন নাসিরি। তবে গোল পাননি তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধ জুড়ে সবুজ-মেরুন নৌকার মাঝি হয়ে উঠলেন কোলাসো। ৫৭ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল পায় মোহনবাগান। নিজেদের অর্ধ থেকে দৌড় শুরু করেছিলেন কোলাসো। তাঁকে পাস বাড়ান ডেভিড উইলিয়ামস। অফ সাইডের দাবি ওঠে। কিন্তু উইলিয়ামস বল ছাড়ার সময় কোলাসো নিজেদের অর্ধে থাকায় অফসাইড হননি। প্রায় ৫০ মিটার দৌড়ে গিয়ে সেই বল ধরেন কোলাসো। তারপর ঠাণ্ডা মাথায় হায়দরাবাদের গোলরক্ষক লক্ষ্মীকান্ত কাট্টিমণিকে টপকে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। দুই মিনিটের মধ্যে ফের গোল পেয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান।
মনবীর সিংহের গোলে ব্যবধান বাড়ায় সবুজ-মেরুন। কাউকোর থ্রু পাস থেকে গোল করেন তিনি। মোহনবাগানের আত্মবিশ্বাসও সেই সঙ্গে দ্বিগুণ হয়ে যায়। হায়দরাবাদের জোয়েল চিয়ানেস একটি গোল শোধ করলেও মোহনবাগানের আক্রমণ কমেনি। কিন্তু গোলের ব্যবধান বাড়েনি। কোলাসো গোলের সামনে দু’টি সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন। এক বার গোলে কাট্টিমণি একা অন্য বার ফাঁকা গোল। কিন্তু কোনও বারই তিন কাঠির মধ্যে বল রাখতে পারেননি কোলাসো।
অন্য দিন হলে এই সহজ সুযোগ নষ্ট করার খেসারৎ দিতে হতে পারত। কিন্তু ২-১ গোলে জয় সেই ব্যর্থতা ঢেকে দেয় এই ম্যাচে। অন্য ম্যাচের আগে এই দিকে নজর দিতে চাইবেন কোচ জুয়ান ফেরান্ডো।