SC East Bengal

SC East Bengal: কোনও বিদেশি না নিয়েই মঙ্গলবার জামশেদপুরের বিরুদ্ধে নামছে এসসি ইস্টবেঙ্গল

আইএসএল তো দূর, আই লিগেও বিদেশিহীন দল দেখা যায় না। একমাত্র ফেডারেশনের দল ইন্ডিয়ান অ্যারোজ বাদে বাকি সবাই বিদেশিদের নিয়ে নামে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২২ ২২:৪২
Share:

চিন্তিত রেনেডি। ছবি টুইটার

ড্যানিয়েল চিমা দেশে ফিরেছেন। আন্তোনিয়ো পেরোসেভিচ নির্বাসিত। বাকি বিদেশিদের চোট। ফলে মঙ্গলবার জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে ১১ জন ভারতীয়কে নিয়েই নামতে হবে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। কোচ রেনেডি সিংহ জানিয়ে দিলেন, এ ছাড়া তাঁর কাছে আর উপায় নেই।

Advertisement

আইএসএল তো দূর, আই লিগেও বিদেশিহীন দল দেখা যায় না। একমাত্র ফেডারেশনের দল ইন্ডিয়ান অ্যারোজ বাদে বাকি সবাই বিদেশিদের নিয়ে নামে। কিন্তু আইএসএল খেলতে নেমে লাল-হলুদের এতটাই দুরবস্থা যে মাঠে নামার মতো একজন বিদেশিও পাওয়া যাচ্ছে না।

সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ রেনেডি বললেন, “দলের অনেকেই চোট পেয়েছে। জয়নার লরেন্সো, যে গত কয়েকটা ম্যাচে খুবই ভাল খেলেছে, তারও চোট। তাই আমার সামনে এ ছাড়া কোনও রাস্তা নেই। তবে যারাই খেলুক, আমি আত্মবিশ্বাসী, সবাই নিজেদের সেরাটা দেবে। আমরা যদি নিজেদের কাজ ঠিকমতো করতে পারি, তা হলে জামশেদপুর ভাল দল হওয়া সত্ত্বেও সমস্যায় পড়তে পারে। ওদের কাজটা কঠিন করে তুলতে হবে এই খেলোয়াড়দেরই। পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে হবে ওদের।”

Advertisement

আগের দুই ম্যাচের মতো লড়াকু মনোভাব কি দেখা যাবে? রেনেডি আত্মবিশ্বাসী। বললেন, “এটা ঠিকই যে গত দু’টি ম্যাচে আমাদের ডিফেন্স যথেষ্ট গোছানো ফুটবল খেলেছে। বেঙ্গালুরু ও লিগের অন্যতম সেরা আক্রমণাত্মক দল মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। কিন্তু এই ম্যাচেও আগে আমাদের রক্ষণ শক্তপোক্ত রেখে আক্রমণে উঠতে হবে। ফুটবল যেমন একসঙ্গে আক্রমণে ওঠা, তেমনই একসঙ্গে ডিফেন্সও করা। জামশেদপুর যথেষ্ট ভাল দল। ওদের কয়েকজন ভাল খেলোয়াড় আছে। যেমন গ্রেগ স্টুয়ার্ট, ডিফেন্ডার পিটার হার্টলে। ভারতীয় খেলোয়াড় লেনও যথেষ্ট ভাল। তবে আমাদের নিজেদের খেলায় মন দিতে হবে।”

রেনেডি দলের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই দলের চেহারা পাল্টে গিয়েছে। ভাল খেলছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। মানসিক ভাবে কী ভাবে দলকে চাঙ্গা করলেন, এই প্রশ্নের উত্তরে রেনেডি বললেন, “প্রথমেই আমাকে সমর্থন করার জন্য ধন্যবাদ দেব ছেলেদের। নতুন কোচ হিসেবে ওদের সমর্থন আমার দরকার ছিল। যখন যা যা বলেছি ওরা তা পালন করেছে। মাঠে ওরা নিজেদের একশো শতাংশের বেশি দিচ্ছে। আমি নিশ্চিত, যে-ই মাঠে থাকুক, সে শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে। ম্যাচে হারি বা জিতি, আমি চাই প্রত্যেকের অবদান থাকুক। ছেলেরা যেন হাল ছেড়ে না দেয়। কাজটা সোজা নয় ঠিকই, তবে ওদের এটা করতেই হবে। দলের অনেকেই খেলার অবস্থায় নেই। এটা বাকিদের সামনে নিজেদের প্রমাণ করার একটা বড় সুযোগ। যারা এতদিন খেলার সুযোগ পায়নি, তাদের সামনে এটা প্রমাণ করার সুযোগ যে তারাও বাকিদের মতোই ভাল।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement