ফাইল চিত্র।
করোনা হানায় বিপর্যস্ত এটিকে-মোহনবাগান। শনিবার ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা আগেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল মোহনবাগানে। তিন ফুটবলার ছাড়া আরও এক জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ এসেছিল। সঙ্গে সঙ্গে বাতিল করে দেওয়া হয় ম্যাচ।
আক্রান্তদের নাম প্রকাশ করা না হলেও সূত্রের খবর, রয় কৃষ্ণ, শুভাশিস বসু ও সন্দেশ জিঙ্ঘনের শরীরে মারণ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। এক ফুটবলারের স্ত্রীও আক্রান্ত হয়েছেন। চুক্তি হয়ে গেলেও সন্দেশ এখনও দলের সঙ্গে যোগ দেননি। তিনি এমনিতেই বাধ্যতামূলক কোয়রান্টিনে ছিলেন। রবিবারও মোহনবাগানের সকলের করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, চব্বিশ ঘণ্টা আগে যাঁদের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল, এ দিনও তাঁদের রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ এসেছে। শোনা যাচ্ছে কার্ল ম্যাকহিউ-ও নাকি আক্রান্ত হয়েছেন। বাকিদের রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’। প্রশ্ন উঠছে, কবে থেকে আবার প্রস্তুতি শুরু করতে পারবেন প্রীতম কোটালরা? ১৫ জানুয়ারি বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে কি খেলতে পারবে মোহনবাগান? আইএসএলের নিয়ম অনুযায়ী টানা তিনটি পরীক্ষার রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ আসার পরেই অনুশীলন শুরু করতে পারবেন ফুটবলাররা। ১৫ জন ফুটবলার যদি থাকেন কোনও দলে, তা হলেই ম্যাচ হবে। কোনও দলে ১৫ জনের কম ফুটবলার থাকলেও খেলা বাতিল হবে না। সেক্ষেত্রে বিপক্ষকে ৩-০ গোলে জয়ী ঘোষণা করা হবে। যদি মুখোমুখি দু’দলেই পর্যাপ্ত ফুটবলার না থাকে, ম্যাচ গোলশূন্য ড্র ঘোষণা করা হবে। অর্থাৎ কোনও অবস্থাতেই আইএসএলের ম্যাচ বন্ধ করতে রাজি নন আয়োজকেরা।
মোহনবাগানে এই মুহূর্তে চিন্তা বাড়ছে কৃষ্ণকে নিয়েই। পরপর দু’টি পরীক্ষার রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ এসেছে কৃষ্ণ-সহ বাকিদের। তাঁদের এখন ১৪ দিন কোয়রান্টিনে থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে ২৯ জানুয়ারি এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ডার্বির আগে খেলার সম্ভাবনা নেই তাঁদের। এ দিকে, শোনা যাচ্ছে এসসি ইস্টবেঙ্গলে ড্যানিয়েল চিমার বিকল্প হিসেবে এক ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার আসতে চলেছেন।