লড়ে এক পয়েন্ট লাল-হলুদের। ছবি টুইটার
সামনে ছিল হারের হ্যাটট্রিকের ভ্রকুটি। কিন্তু চেন্নাইয়িন এফসি-র বিরুদ্ধে আইএসএল-এর চতুর্থ ম্যাচে সেই বিপদ এড়াল এসসি ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচ শেষ হল গোলশূন্য অমীমাংসিত। চলতি আইএসএল থেকে দ্বিতীয় পয়েন্ট সংগ্রহ করল লাল-হলুদ।
টানা দুটি ম্যাচে হেরে মানসিক ভাবে এমনিতেই বিপর্যস্ত ছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। তার উপর তাদের রক্ষণ নিয়ে ব্যপক কাটাছেঁড়া চলছিল সর্বত্র। শুক্রবার দেখা গেল, সেই রক্ষণ বারবার পরীক্ষার মুখে পড়ল। অল্পবিস্তর ভুলচুকও করল। কিন্তু ঘুরে দাঁড়াল। গোটা ম্যাচে চেন্নাই একাধিক বার লাল-হলুদ বক্সে হানা দিয়েছে। একাধিক গোলের সুযোগ এসেছে। কিন্তু লাল-হলুদ ডিফেন্সের তৎপরতায় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। কিন্তু এই ম্যাচেও এসসি ইস্টবেঙ্গলকে ভরসা দিতে পারল না আক্রমণভাগ।
প্রথমার্ধের শুরুতেই আক্রমণে উঠেছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু টমিস্লাভ মার্সেলা আগেই অফসাইড হয়ে যান। এরপর ধীরে ধীরে খেলা ধরতে থাকে চেন্নাই। একের পর এক আক্রমণ আছড়ে পড়তে থাকে লাল-হলুদ বক্সে। ইস্টবেঙ্গল প্রাণপনে তা রুখে দেওয়ার চেষ্টা করছিল। গোলকিপার শুভম সেনও গোটা ম্যাচে ভরসা দিলেন। তবে আক্রমণভাগ একেবারেই আশ্বস্ত করতে পারল না ভক্তদের। ড্যানিয়েল চিমা এই ম্যাচেও অদ্ভুতভাবে নিষ্প্রভ। বিদেশের লিগে সুনামের সঙ্গে খেলে আসা এই স্ট্রাইকার ভারতে এসে মনে হচ্ছে অথৈ জলে পড়েছেন। প্রথমার্ধে একটাও গোলে শট মারতে পারেনি লাল-হলুদ।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণে ধারা বজায় ছিল চেন্নাইয়িনের। তবে এ বার আক্রমণে কিছুটা স্বচ্ছন্দ দেখাল ম্যানুয়েল দিয়াসের দলকে। শুরুর দিকে চেন্নাইয়িন দু’একটি সুযোগ পেলেও ৭০ মিনিটের মাথায় ভাল সুযোগ পায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। তবে চিমা শট করলেও তা বাঁচিয়ে দেন চেন্নাইয়ের দামজানোভিচ। এরপর দেরভিসেভিচের ফ্রিকিক থেকে রাজু মাথা ছোঁয়ালেও তা বারের উপর দিয়ে চলে যায়।
এরপর দুরন্ত দলগত আক্রমণের সুফল হিসেবে বল এসে গিয়েছিল রফিকের কাছে। কিন্তু তাঁর শট চেন্নাইয়িনের ডিফেন্ডাররা বাঁচিয়ে দেন।