ভাল খেললেন পেরোসেভিচ। তবে লাভ হল না ছবি টুইটার
গত বারের চিত্রনাট্য বদল হল না এ বারেও। আইএসএল-এর প্রথম ম্যাচে ফের আটকে গেল এসসি ইস্টবেঙ্গল। রবিবার জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে তাদের ম্যাচ শেষ হল ১-১ অমীমাংসিত অবস্থায়। কর্নার থেকে ফ্রানিয়ো পর্চে গোল করে এগিয়ে দিয়েছিলেন লাল-হলুদকে। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে সমতা ফেরান জামশেদপুরের অধিনায়ক পিটার হার্টলি।
প্রথমার্ধে অনেক বেশি সতেজ দেখিয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। একের পর এক আক্রমণে জামশেদপুরের রক্ষণকে রীতিমতো ঝাঁজরা করে দিচ্ছিল তারা। ডান দিক থেকে বার বার উঠে পিটার হার্টলিদের বেগ দিচ্ছিলেন আন্তোনিয়ো পেরোসেভিচ। সেই আক্রমণের সুফলও পায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। গত মরসুমে গোল করতে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল তাদের। এ বার ১৭ মিনিটেই কাঙ্ক্ষিত গোল এল।
শুরুটা হয়েছিল বরিস সিংহের একটি হ্যান্ডবল থেকে। সেখান থেকে পেরোসেভিচের ফ্রিকিক কর্নার হয়ে যায়। বিকাশ জাইরুর কর্নার থেকে জটলার মধ্যে থেকে অ্যাক্রোব্যাটিক শটে গোল করেন পর্চে। বল জামশেদপুরের এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে গোলে ঢুকলেও সেটি পর্চের নামেই স্কোরশিটে লেখা হয়। মিনিট ১৫ বাদে ফের বল জালে জড়িয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। তবে টমিস্লাভ মার্সেলার গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে গোল করেন হার্টলি। এ ক্ষেত্রে পুরো দোষই মহম্মদ রফিকের। হার্টলিকে ঠিক মতো মার্কই করতে পারেননি তিনি।
প্রথমার্ধে যথেষ্ট সক্রিয় দেখিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে। দ্বিতীয়ার্ধে সেই ঝাঁজ কোথায় যেন উবে গেল। বল ঘোরাফেরা করতে লাগল জামশেদপুর ফুটবলারদের পায়েই। তারা বরং বেশ কয়েক বার গোলের সামনে পৌঁছে গিয়েছিল। অল্পের জন্য গোল পায়নি। গত বারের সফল স্ট্রাইকার নেরিজুস ভাল্সকিস কিছুটা অফ ফর্মে ছিলেন রবিবার। তাঁকে পুরো সময় মাঠে রাখেননি জামশেদপুর কোচ ওয়েন কয়েল।
স্ট্রাইকার হিসেবে রবিবার ড্যানিয়েল চিমাকে সামনে রেখেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ ম্যানুয়েল দিয়াস। সেই চিমা ক’বার বল ধরেছেন তা হাতে গুণে বলা যাবে। প্রথম ম্যাচে সে ভাবে ছাপই ফেলতে পারলেন না তিনি। জাইরু বা রফিকদের মতো দেশীয় খেলোয়াড়রাও জ্বলে উঠতে পারেননি।