ISL 2021-22

ISL 2021-22: কেরল দ্বৈরথের আগে ফের বিপন্ন লাল-হলুদ কোচ

পাঁচটি ম্যাচের একটিতেও জিততে পারেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। হেরেছে তিনটিতে। চিমারা ড্র করেছেন দু’টি ম্যাচে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২১ ০৫:৫২
Share:

প্রস্তুতি: রক্ষণ মজবুত করা লক্ষ্য লাল-হলুদের। এসসি ইস্টবেঙ্গল

লাল-হলুদ সমর্থকেরা সম্ভবত এখন সবচেয়ে স্বস্তিতে থাকেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ না থাকলেই! আজ, রবিবার আইএসএলে কেরল ব্লাস্টার্সের মুখোমুখি হবেন ড্যানিয়েল চিমারা। ম্যাচের চব্বিশ ঘণ্টা আগে থেকেই সমর্থকরা আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেন। তার উপরে শনিবার ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে কোচ ম্যানুয়েল দিয়াস যখন নিজেই স্বীকার করে নিলেন কেরলকে হারানো খুবই কঠিন, তখন রক্তচাপ তো বেড়ে যাবেই।

Advertisement

পাঁচটি ম্যাচের একটিতেও জিততে পারেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। হেরেছে তিনটিতে। চিমারা ড্র করেছেন দু’টি ম্যাচে। এখনও পর্যন্ত খেয়েছে ১৪টি গোল! পরিসংখ্যানের চেয়েও ভয়াবহ দলের অন্দরমহলের পরিস্থিতি। চলতি আইএসএলে আদৌও কোনও ম্যাচ জিতবেন কি না, তা নিয়ে স্বয়ং কোচের মনেই গভীর সংশয় রয়েছে। শনিবার আরও একবার তাঁর গলায় হতাশার সুর শোনা গেল। লাল-হলুদের স্পেনীয় কোচ বললেন, ‘‘কেরল খুবই শক্তিশালী এবং গোছানো দল। ওদের ফুটবলাররা প্রচণ্ড পরিশ্রম করে। ওদের হারানো খুবই কঠিন।’’ কেরলের কোচ ইভান ভুকোমানেভিচ বলেছেন, ‘‘আকর্ষণীয় ফুটবল খেলে জয়ের ধারা বজায় রাখাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’’

যে কোচ মাঠে নামার আগে মনে করেন জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ, সেই দলের পক্ষে কি ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব? কেন ম্যানুয়েল জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী নন? লাল-হলুদ কোচের ব্যাখ্যা, ‘‘শুধু ফিটনেস নয়।দক্ষতা, গুণগত মান, সব ক্ষেত্রেই আমরা পিছিয়ে রয়েছি। কোচের এই মন্তব্য শুনে কেউ কেউ বলে ফেললেন, ‘‘আসলে কোচ ক্ষেত্র প্রস্তুত করছেন। যাতে কেরলের কাছে হারলে ওঁকে একা দায়ী না করা হয়।’’

Advertisement

প্রশ্ন উঠছে কোচ কি পারেন দায় এড়িয়ে যেতে? কারণ, অষ্টম আইএসএলে পাঁচ ম্যাচে ১৪টি গোল খেয়েছে লাল-হলুদ। সবই রক্ষণের ভুলে। অথচ চূড়ান্ত ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও ডিফেন্ডার রাজু গায়কোয়াড়কে সব ম্যাচে খেলাচ্ছেন লাল-হলুদ কোচ। কেন আদিল খানকে তিনি খেলাবেন না শুরু থেকে? সব দলেরই প্রথম একাদশ মোটামুটি চূড়ান্ত থাকে। প্রয়োজনে এক বা দু’জন ফুটবলার পরিবর্তন করেন কোচেরা। ব্যতিক্রমী ছবি লাল-হলুদে। পাঁচটি ম্যাচেই প্রথম একাদশে একাধিক পরিবর্তন করেছেন ম্যানুয়েল। যা নিয়ে ফুটবলারদের মধ্যেও অসন্তোষ বাড়ছে। তাঁরা মনে করছেন, বারবার প্রথম দলে পরিবর্তনের ফলে বোঝাপড়া গড়ে উঠছে না। কেন থংখোসিয়েম হাওকিপকে বসিয়ে রেখে মাঝমাঠের অমরজিৎ সিংহ কিয়ামকে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলাচ্ছেন? লাল-হলুদ কোচ যুক্তি দিচ্ছেন, টানা ম্যাচ খেলে ফুটবলাররা ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। তাই তাঁদের বিশ্রাম দেওয়ার জন্যই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলাচ্ছেন। রবিবারের ম্যাচেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। যদিও চোটের কারণে মাঝমাঠের অন্যতম ভরসা ড্যারেন সিডোয়েলকে পাচ্ছেন না ম্যানুয়েল। নেই জ্যাকিচন্দ্র সিংহ ও অরিন্দম ভট্টাচার্য। লাল-হলুদ সমর্থকদের কোচ বলছেন, ‘‘ওঁদের যন্ত্রণা অনুভব করছি। আমরা নিজেরাও হতাশ। কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দল। চেষ্টা করছি দ্রুত উন্নতি করার। এখন সমর্থকদের মুখে হাসি ফেরানোই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’’

কোচের প্রতি আদৌ কি আস্থা রয়েছে লাল-হলুদ সমর্থকদের?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement