জোসে ম্যানুয়েল দিয়াস। ছবি টুইটার
গত বারের ব্যর্থতা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া এসসি ইস্টবেঙ্গল। আগের আইএসএল-এ নবম স্থানে শেষ করেছিল লাল-হলুদ বাহিনি। প্রথম ম্যাচের আগে তাদের প্রতিপক্ষ জামশেদপুর এফসি। তারপরেই ডার্বি খেলতে নামবে তারা। তবে ডার্বি নিয়ে এখন একেবারেই ভাবতে নারাজ এসসি ইস্টবেঙ্গলের কোচ জোসে ম্যানুয়েল দিয়াস।
শনিবার ম্যাচের আগে সাংবাদিক বৈঠকে ডার্বি নিয়ে প্রশ্ন করতেই ফুঁসে উঠলেন লাল-হলুদ কোচ। বললেন, “আমরা জামশেদপুরের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ খেলব। ডার্বি নয়, আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য প্রথম ম্যাচে জেতা গুরুত্বপূর্ণ। প্রাক-মরসুম প্রস্তুতিতে আমরা সন্তুষ্ট। প্রথম ম্যাচে তাই ভাল খেলতে মুখিয়ে রয়েছি। ইতিহাস অনেক কথাই বলবে। কিন্তু এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলার জন্যেও আমরা তৈরি।”
গত বার রবি ফাওলারের অধীনে হতাশ করেছিল লাল-হলুদ। এ বার কি বদল দেখতে পাওয়া যাবে? আত্মবিশ্বাসী দিয়াসের উত্তর, “প্রাক-মরসুমে ৩৫টি সেশন করেছি আমরা। প্রত্যেক ফুটবলারের দক্ষতা এবং ক্ষমতা সম্পর্কে আমি জানি। বিভিন্ন পদ্ধতিতে আমরা খেলতে পারি। ম্যাচ জিততেও বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতে পারি। জামশেদপুর গত বারের বেশিরভাগ ফুটবলারই ধরে রেখেছে। কোচও একই। এখন দেখার গত বারের কৌশলেই ওরা খেলে কিনা।”
এ বার বিদেশিদের উপর অনেকটাই ভরসা করেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। কম সময় পেয়েও বিদেশি নিয়োগে বুদ্ধিমত্তা দেখিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। বিশেষত ড্যানিয়েল চিমাকে নিয়ে মুগ্ধ অনেকেই। দিয়াস বললেন, “গত বছর সমর্থকদের প্রতি সুবিচার করতে পারিনি আমরা। এ বার নতুন দল হয়েছে। কোচেরাও নতুন। গত বারের থেকে ভাল ফল করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। চিমার সম্পর্কে বলতে পারি, ও খুব ভাল ফুটবলার। নিজে গোল করতে এবং সতীর্থদের দিয়ে গোল করাতে ভালবাসে। ওকে খেলতে দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। তবে গোটা দল ভাল না খেললে চিমা একা কিছু করতে পারবে না।”