আইএসএল সেমিফাইনালে এটিকে মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ হায়দরাবাদ এফসি। —ফাইল ছবি
লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে জামশেদপুর এফসি-র কাছে হেরে আইএসএল-এর লিগ শিল্ড হাতছাড়া হয়েছে এটিকে মোহনবাগানের। তবে প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ এখনও রয়েছে সবুজ-মেরুন শিবিরের সামনে। সে জন্য প্রথমে সেমিফাইনালে হায়দরাবাদ এফসি-র বাধা টপকাতে হবে মোহনবাগানকে।
২০ মার্চ ফাইনালে শেষ হাসি হাসতে মরিয়া জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা। লিগ শিল্ড হাতছাড়া হওয়ায় হতাশ হলেও দলের ভুল ত্রুটি শুধরে নকআউট পর্বে ভাল ফল করতে চান সবুজ-মেরুন কোচ। মঙ্গলবার থেকেই নকআউট পর্বের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছেন ফেরান্দো। সেমিফাইনালে হায়দরাবাদের রক্ষণ ভাঙতে আক্রমণের কৌশল বদলের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, লিগের খেলায় প্রথম পর্বে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জয় পায়নি মোহনবাগান। ২-২ গোলে অমীমাংসিত ছিল ম্যাচ। দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে হায়দরাবাদকে ২-১ ব্যবধানে হারায় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
নকআউট পর্বের লড়াইয়ে মোহনবাগান, হায়দরাবাদ ছাড়াও রয়েছে জামশেদপুর এফসি এবং কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি। দু’লেগের সেমিফাইনালের পর ফাইনাল। ১১ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে শেষ চারের লড়াই। সেদিন ফাতোরদা স্টেডিয়ামে প্রথম লেগে মুখোমুখি হবে জামশেদপুর এবং কেরালা। পরের দিন ১২ মার্চ প্রথম লেগের ম্যাচে ব্যাম্বোলিমে মুখোমুখি হবে হায়দরাবাদ-মোহনবাগান। ১৫ মার্চ দ্বিতীয় লেগের সেমিফাইনাল তিলক ময়দানে খেলবে জামশেদপুর-কেরালা। ১৬ মার্চ দ্বিতীয় লেগের সেমিফাইনালে মোহনবাগান-হায়দরাবাদ লড়াই হবে ব্যাম্বোলিমে। ২০ মার্চ ফাতোরদা স্টেডিয়ামে হবে এবারের আইএসএল ফাইনাল।
এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং এএফসি কাপ হবে আবার ২০২৩-২৪ মরসুমে। প্রতিযোগিতা দু’টির সময় বদল করছে এশীয় ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা। তাই লিগ শিল্ড জিতেও এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলা নিশ্চিত নয় জামশেদপুরের। সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন সরকারি ভাবে এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি এখনও। সূত্রের খবর, পরের আইএসএল-এ যে দল লিগ শিল্ড জিতবে, তাদের সঙ্গে প্লে-অফ ম্যাচ খেলতে হবে জামশেদপুরকে। জয়ী দল ২০২৩-২৪ মরসুমে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার সুযোগ পাবে।
এএফসি কাপের যোগ্যতা অর্জনের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কার্যকর হবে। এ বারের চ্যাম্পিয়ন দলকে প্লে-অফ ম্যাচ খেলতে হবে আগামী আইএসএল-এর চ্যাম্পিয়ন দলের বিরুদ্ধে। তাদের মধ্যে জয়ী দল ২০২৩-২৪ মরসুমে এএফসি কাপ খেলার ছাড়পত্র পাবে।