সোমবার এ ভাবেই আটকে গেলেন কৃষ্ণ। ছবি টুইটার
আইএসএল-এ ফের হারের মুখ দেখতে হল এটিকে মোহনবাগানকে। সোমবার জামশেদপুর এফসি-র কাছে ১-২ ব্যবধানে হেরে গেল আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাসের দল। মূলত ডিফেন্ডারদের ব্যর্থতা এবং রেফারির কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই হারতে হল তাদের।
তরুণ সুমিত রাঠি এবং আশুতোষ মেহতাকে দিয়ে ডিফেন্স সাজিয়েছিলেন হাবাস। সেই জুটি বারবার ভেঙে দিলেন জামশেদপুরের নেরিয়ুস ভাল্সকিস, অ্যালেক্স লিমারা। তিরি এই ম্যাচে খেলেননি। ফলে এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে তিনি এখনও পুরো সুস্থ নন।
একদম প্রথমে একটি সুযোগ পেয়েছিলেন এটিকে মোহনবাগানের রয় কৃষ্ণ। হুগো বুমোসের ফ্রিকিক ভেসে আসে বক্সে। সেটি ধরে গোল করার চেষ্টা করেন কৃষ্ণ। গোল তো হয়ইনি, উল্টে কৃষ্ণ অফসাইড হয়ে যান। এরপর ধীরে ধীরে ম্যাচের রাশ ধরতে থাকে জামশেদপুর।
এটিকে মোহনবাগানের বক্সে একের পর এক আক্রমণ ধেয়ে আসতে থাকে। সুমিত, আশুতোষরা দম ফেলার সময় পাচ্ছিলেন না। এরই মাঝে দুর্দান্ত আক্রমণের ফসল তুলে নেয় জামশেদপুর। মাঝমাঠ থেকে আক্রমণ শুরু হয়েছিল। জিতেন্দ্র সিংহ একাই মোহনবাগানের কয়েকজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে পাস দেন ডানদিকে। চলতি বলে দুরন্ত শটে এটিকে মোহনবাগানের জালে বল জড়ালেন লেন ডঙ্গেল।
প্রথমার্ধে পিছিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও গোল খেয়ে যেতে পারত এটিকে মোহনবাগান। জামশেদপুরের গ্রেগ স্টুয়ার্টের দুরন্ত ফ্রিকিক অল্পের জন্য বারের উপর দিয়ে উড়ে যায়। এরপর সমতা ফেরানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছে এটিকে মোহনবাগান। জামশেদপুরের বক্সে বারবার উঠে যায় তারা। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোল আসেনি। কৃষ্ণ একাধিক সুযোগ নষ্ট করেছেন। মাঝে একটি হ্যান্ডবলের দাবিও উঠেছিল। কিন্তু রেফারি ক্রিস্টাল জন তা পাত্তা দেননি। যদিও পরে রিপ্লে দেখে বোঝা যায়, সেটি পেনাল্টি দিলেও দিতে পারতেন তিনি।
এরপর মাঠের মধ্যেই ঝামেলা লাগে। হুগো বুমোসকে ট্যাকল করেছিলেন প্রাক্তন বাগানি প্রণয়। উঠে দাঁড়িয়ে প্রণয়কে পাল্টা ধাক্কা মেরে ফেলে দেন বুমোস। রেফারি দু’জনকেই হলুদ কার্ড দেখান। তবে বুমোস লাল কার্ডও দেখতে পারতেন।
৮০ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরাতে পারত সবুজ-মেরুন। প্রতি আক্রমণে প্রবীরের থেকে পাস পেয়ে ডেভিড উইলিয়ামস দূরপাল্লার শট নিয়েছিলেন। তবে তা বাঁচিয়ে দেন রেহনেশ। এরপরেই দ্বিতীয় গোল খায় এটিকে মোহনবাগান। অ্যালেক্স লিমা গোল করেন। এক ঝাঁক ডিফেন্ডারের মাঝ থেকে পাস পেয়ে গোল করেন তিনি। তাঁকে মার্ক না করার দায় সবুজ-মেরুন ডিফেন্ডারদের উপরে বর্তাতেই পারে।
৮৮ মিনিটের মাথায় এক শোধ করে এটিকে মোহনবাগান। তবে গোল করার পরেই তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। বুমোসের কর্নার ফিস্ট করেন রেহনেশ। বল আশুতোষের হাঁটুতে লাগার পর প্রীতমের গায়ে লেগে ঢোকে। প্রীতম অফসাইডে ছিলেন। তীব্র প্রতিবাদ করতে থাকেন জামশেদপুরের ফুটবলাররা। তবে তা গ্রাহ্য হয়নি।