২৩ মিনিটের মাথায় মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন লিস্টন কোলাসো। ছবি: টুইটার থেকে
টানা চার ম্যাচে হার এবং দীর্ঘ দিনের কোচ আন্তোনিয় হাবাসের বিদায়, এটিকে মোহনবাগানের চিন্তার কারণ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মরসুমের মাঝ পথে দায়িত্ব নেওয়া জুয়ান ফেরান্দো আসার পর টানা দুই ম্যাচে জয় পেল সবুজ মেরুন। বুধবার এফসি গোয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেরা চারে ফিরে এল ফেরান্দোর দল। এ বার তাঁর লক্ষ্য, প্রথম চারে থেকে নক আউট পর্বে জায়গা নিশ্চিত করা।
দল নিয়ে খুশি সবুজ-মেরুন কোচ। তাঁর সদ্য প্রাক্তন ক্লাবের বিরুদ্ধে জয়ের পর সাংবাদিক বৈঠকে যদিও জানালেন তিনি ব্যক্তিগত ভাবে ৫০ শতাংশ খুশি। ফেরান্দো বলেন, “আমরা পেশাদার ক্লাবের মতো খেলে তিন পয়েন্ট পেয়েছি। তবে কিছুটা হতাশ হয়েছি। কারণ, প্রতিপক্ষ আমার খুবই চেনা। এফসি গোয়া হারলে আমার ভাল লাগে না। তবে আমি পেশাদার কোচ। তাই সে ভাবেই ভাবছি।”
২৩ মিনিটের মাথায় মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন লিস্টন কোলাসো। সেই গোল নিয়ে খুশি হলেও দলের খেলা প্রসঙ্গে ফেরান্দো বলেন, “প্রতিটা গোলই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তবে আরও ছোটখাটো ব্যাপার নিয়ে কাজ করতে হবে। বিপক্ষকে আরও চাপে রাখা প্রয়োজন। আক্রমণে উঠে কাজটা শেষ করতে পারছি না। সেই দিকে আরও নজর দিতে হবে। আক্রমণ আরও ধারালো করে তুলতে হবে।”
এক সপ্তাহ আগে ফেরান্দো যখন ক্লাবের দায়িত্ব নেন, তখন দল টেবলের নীচের দিকে ছিল। বছরটা শেষ করছেন সেরা চারে থেকে। কেমন লাগছে তাঁর? ফেরান্দো বলেন, “ভাল। তবে এখন আমাদের হায়দরাবাদ ম্যাচের প্রস্তুতিতে মনোনিবেশ করতে হবে। বাকি সব ভুলে এখন শুধু পরের ম্যাচেই নজর দিতে হবে।”
মরসুমের মাঝ পথে একটি দলের দায়িত্ব নিয়ে ফুটবলারদের সঙ্গে বোঝাপড়া তৈরি করা কতটা কঠিন হয় একজন কোচের পক্ষে? ফেরান্দো বলেন, “আমার স্টাইল এবং দর্শনের উপর ফুটবলারদের আস্থা আছে। ওরা এগুলো অনুসরণ করতে আগ্রহী। এটা আমার পক্ষে খুবই ভাল। কোচিং স্টাফ ও ক্লাবের কর্তারা আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন, সে জন্য আমি খুশি।”
জানুয়ারি মাসে ফের নতুন ফুটবলার নিতে পারবে দলগুলি। সবুজ-মেরুনও কি কাউকে নেওয়ার কথা ভাবছে? ফেরান্দো বলেন, “সত্যি বলতে এখন আমি দলের উন্নতিতে মনোনিবেশ করতে চাই। কয়েক দিন পরে হয়তো এই নিয়ে কথা বলতে পারব। এই মুহূর্তে আমার হাতে খুব ভাল একটা দল রয়েছে। দল হিসাবে আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে।”