ক্ষুব্ধ হাবাস। ফাইল ছবি
কলকাতা ডার্বি জিতে যতটা আনন্দে ভাসছিল এটিকে মোহনবাগান, মুম্বই সিটি এফসি-র কাছে লজ্জাজনক ভাবে হেরে ততটাই ব্যর্থতার মুখ দেখতে হয়েছে তাদের। পাঁচ গোল খেয়ে মুম্বইয়ের কাছে মুখ থুবড়ে পড়েছিল সবুজ-মেরুন। গত বারের চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে তারকাখচিত দল সাফল্য পেতে ব্যর্থ। হাবাস নিজের দল নিয়ে অজুহাত দিতে না চাইলেও রেফারির প্রতি ক্ষিপ্ত।
তবে সোমবার জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে নামার আগে সব ভুলতে চাইছেন কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস। ম্যাচের আগে সমর্থকদের আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন, তিরি সুস্থ রয়েছেন। মাঠে নামার অবস্থাতেও রয়েছেন। ২০ জনের দলে তাঁকে রাখছেন হাবাস। তবে প্রথম একাদশে খেলাতে পারবেন কিনা, তা জানেন না এখনও।
মুম্বই ম্যাচে কেন হারতে হল, তার ব্যাখ্যা দিয়ে হাবাস বলেছেন, “ওই ম্যাচটা আমার কাছে অতীত। আমি কোনও অজুহাতও দিতে চাই না। হেরে অজুহাত দেওয়া ভাল নয়। আমার মতে, মুম্বই ওই ম্যাচে আমাদের থেকে ভাল খেলেছে।”
এটিকে বা এটিকে মোহনবাগানের কোচ হিসেবে এর আগে এত বড় ব্যবধানে হারেননি হাবাস। যদিও স্প্যানিশ কোচ সেটা নিয়ে বেশি চিন্তিত নন। বললেন, “অনেক মরসুম হয়ে গেল আমি কলকাতায় কোচিং করাচ্ছি। অনেক দুঃসময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। হঠাৎ করে এ রকম একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতেই পারে। ম্যাচটা বিশ্লেষণ করলে দেখবেন, ফুটবলে এমন অনেক হয়েছে।”
হাবাসের সংযোজন, “ওই দিন শুরুতেই আমরা গোল খাই। দ্বিতীয় গোলের সময় হ্যান্ডবল করেছে বিপক্ষের ফুটবলার, যেটা রেফারি দেখেননি। তৃতীয় গোলের আগে ফাউল হয়। রেফারি (দীপক) টাংরিকে লাল কার্ড দেখান, কিন্তু ওদের (মুর্তাদা) ফলকে দেখালেন না। চতুর্থ গোল হয় অফসাইডে। এ রকম আরও মুহূর্ত এসেছে ম্যাচে। আমরা ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোরও সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু স্বীকার করতেই হবে, সে দিন মুম্বই আমাদের চেয়ে ভাল খেলেছে। তবে রেফারি সে দিন এত ভুল না করলে এই ব্যবধানে ওরা জিততে পারত না বোধহয়।”
বরাবরের মতোই প্রতিপক্ষের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন হাবাস। বলেছেন, “ওদের কোচ খুব ভাল। ওকে এবং দলটাকে শ্রদ্ধা করি। ম্যাচটায় ভাল লড়াই হবে। বিপক্ষের কোনও বিশেষ খেলোয়াড়কে নিয়ে কথা বলতে চাই না। নেরিয়ুস ভাল্সকিস আগের চেয়ে অনেক উন্নতি করেছে। ওদের ভাল মিডফিল্ডারও আছে। ভাল মানের ভারতীয় ফুটবলারও রয়েছে ওদের দলে। প্রতিপক্ষ হিসেবে ওরা বেশ কঠিন। লড়াকু দল।”