জিততে মরিয়া হাবাস। ফাইল ছবি
কলকাতা ডার্বির পর থেকে আর জয় নেই এটিকে মোহনবাগানে। দু’টি ম্যাচ হারের পর শেষ ম্যাচে চেন্নাইয়িন এফসি-র বিরুদ্ধে ড্র করেছে তারা। জয়ে ফিরতে মরিয়া সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
এ অবস্থায় তাদের আশা জাগাচ্ছে পরবর্তী প্রতিপক্ষ। বৃহস্পতিবার বাম্বোলিমে এটিকে মোহনবাগানের সামনে বেঙ্গালুরু এফসি। সুনীল ছেত্রীর দলের অবস্থা এটিকে মোহনবাগানের থেকেও খারাপ। ছ’টি ম্যাচে মাত্র একটিতে জিতেছে তারা। শেষ তিন ম্যাচে হেরে খেলতে নামছে বেঙ্গালুরু এফসি। ছন্দহীন এই দলের বিরুদ্ধেই জয়ে ফিরতে চাইছে এটিকে মোহনবাগান।
যদিও বেঙ্গালুরুকে নিয়ে বরাবরের মতোই শ্রদ্ধাশীল এটিকে মোহনবাগান কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস। বলেছেন, “বেঙ্গালুরু ভাল দল। ওরা কিছু খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করে, যারা ভাল খেলতে পারছে না। সব দলের কোচই ম্যাচ জিততে চায়। সমস্যার সমাধান করতে হলে কোচকে খেলোয়াড়দের ওপরই নির্ভর করতে হবে।”
তাঁর সংযোজন, “এ বারের আইএসএলের ম্যাচগুলো যদি লক্ষ্য করে থাকেন তা হলে দেখবেন, প্রায় সব ম্যাচেই ৩০-৪০ মিনিটের মধ্যে সমতা এসেছে। তার পরে একটা জয়সূচক গোল হয়েছে। সব ম্যাচেই একটা মরিয়া ভাব দেখা যাচ্ছে। কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকছে না। আরও দু-তিন গোল করে দিচ্ছে কোনও কোনও দল। আমাদের স্থীরতা দরকার। দলের মধ্যে ভারসাম্য প্রয়োজন। হার বা জিত তো থাকেই। আমি কোনও দলের মধ্যে বিশাল কোনও ফারাক দেখতে পাই না। এ কথা ভেবেই এটিকে মোহনবাগানে কাজ করি আমি।”
এ বারের আইএসএল-এ এখনও পর্যন্ত গোল করতে পারেননি সুনীল। তাঁর খারাপ ছন্দই কি দলের ব্যর্থতার কারণ? হাবাস তা মনে করেন না। বলেছেন, “সুনীল সর্বকালের সেরা। বেঙ্গালুরু এফসি এখন আর আগের মতো না-ও থাকতে পারে। তবে সুনীল ভারতীয় ফুটবলে একজন কিংবদন্তি। এ দেশের তরুণ খেলোয়াড়দের কাছে ও আদর্শ। ওর প্রতি আমাদের যথেষ্ট শ্রদ্ধা আছে। আমার মনে হয় না একটা দল একজন খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করে। ফুটবল দলগত খেলা। রয় বা ছেত্রী একা দলকে জেতাতে পারে না।”
হাবাস এটাও জানিয়ে দিলেন, দলের এই ফর্ম সত্ত্বেও মরসুম শেষে প্রথম চারে থাকার ব্যাপারে তাঁরা আশাবাদী। বলেছেন, “এখনও অনেক খেলা বাকি আছে, অনেক পয়েন্ট জেতা বাকি আছে। এই পরিস্থিতি থেকে নিজেদের বার করে আনার উপায় বা সুযোগও আছে। আমার মনে আছে ২০১৯-২০ মরশুমে চেন্নাইয়িন এফসি সাতটা ম্যাচে হারার পরেও লিগ টেবলে দ্বিতীয় স্থানে ছিল। এমনকী ফাইনালেও খেলেছিল। আমাদের উন্নতি করার চেষ্টা করে যেতে হবে। দুটো ম্যাচে হারার পরে দুটো ম্যাচে জেতাও যায়। লম্বা মরসুম রয়েছে সামনে। পরিস্থিতির পরিবর্তন হতেই থাকে। তিনটে ম্যাচে আমরা জিততে পারিনি ঠিকই। কিন্তু এর পরে টানা তিন ম্যাচে জিততেও পারি।”