উল্লাস: গোলের পরে ইন্টার মিলান তারকা জেকো। বুধবার। রয়টার্স
১১ মে: তারকাদের ভিড়ে তাঁরা এখন রাতারাতি চলে গিয়েছেন পিছনের সারিতে। কিন্তু বুধবার সান সিরো স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম পর্বে তাঁদের গোলই ইন্টার মিলান সমর্থকদের মুখে ফিরিয়েছে তৃপ্তির হাসি।
প্রথম জন বসনিয়া এবং হার্জেগোভিনার তারকা এডিন জেকো। বয়স ৩৭ বছর। দ্বিতীয় জন প্রাক্তন ম্যান ইউ তারকা হেনরিখ মাখতারিয়ান। আর্মেনিয়ার এই স্ট্রাইকারের বয়স ৩৪ বছর। গ্যালারিতে বসে জয় উপভোগ করলেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচ।
ডার্বি দেখলেন ৮০ হাজার দর্শক। আট মিনিটেই জেকোর অনবদ্য ভলিতে গোল পেয়ে যায় ইন্টার। এই ম্যাচ দেখতে এসি মিলানের সমর্থকই অনেক বেশি উপস্থিত ছিলেন। ইন্টার শুরুতে গোল পেয়ে যাওয়ায় স্টেডিয়াম কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়।
প্রথম গোলের তিন মিনিট পরেই ২-০ করে ফেলে ইন্টার। এ বারের গোলদাতা হেনরিখ মাখতারিয়ান। সতীর্থ ফেদেরিক দিমারকোর পাস থেকে গোল করেন তিনি।
বুধবারের ম্যাচে ইন্টার আরও বড় ব্যধানে জিততে পারত। হাকান কালহানোগলুর শট পোস্টে লাগে। তার উপরে বক্সে লাউতারো মার্তিনেস পড়ে যাওয়ায় রেফারি পেনাল্টি দেন। যদিও পরে ভিডিয়ো দেখে সিদ্ধান্ত বদলান। বেঁচে যায় এসি মিলান।
দ্বিতীয়ার্ধে ইন্টার খুবই রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলেছে। ২-০ গোলে এগিয়ে থাকার সুবিধা হাতছাড়া করতে চায়নি সিমোন ইনজাঘির দল। তার মধ্যে এসি মিলানের সান্দ্রো টোনালির শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়।
ম্যাচের পরে ইন্টার ম্যানেজার ইনজাঘি বলেছেন, ‘‘ফাইনালের পথে এক ধাপ এগোলাম। প্রথমার্ধে দল দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে। ঘরের মাঠে আমাদের যে ধরনের ফুটবল খেলার প্রয়োজন ছিল, সেটাই হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘টোনালির শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হওয়ার ঘটনা বাদ দিলে পুরো ম্যাচে আধিপত্য ছিল আমাদের দলের। হাতে আরও সাত দিন পাব। তার মধ্যে দলকে তৈরি থাকতে হবে পরের দ্বৈরথের জন্য। আমি ফুটবলারদের নিয়ে আশাবাদী।’’ ইনজাঘি ইঙ্গিত দিয়েছেন, দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে ফিরতে পারেন পর্তুগালের উইঙ্গার রাফায়েল লেয়াও।
এখন পরিস্থিতি যা, তাতে বলা যেতে পারে, ইন্টার মিলান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল খেলার পথে অনেকটাই এগিয়ে থাকল। প্রসঙ্গত ইউরোপীয় কাপ বা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তিন বারের বিজয়ী হলেও ইন্টার মিলান শেষ ১৩ বছরে একবারও এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠতে পারেনি।