গত শনিবার এমনই অবস্থা হয় আরেমা এবং পার্সিবায়া সুরাবায়ার খেলার শেষে। ফাইল ছবি।
ফুটবল মাঠে হাঙ্গামা এবং শতাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় ছয় জন প্রধান অভিযুক্তকে চিহ্নিত করল ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত করার ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন তিন পুলিশ আধিকারিকও।
গত শনিবার ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল লিগে জাভার দুই ক্লাব আরেমা এবং পার্সিবায়া সুরাবায়ার মধ্যে খেলা ছিল। সেই ম্যাচেই সমর্থকদের মধ্যে মারামারি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটালে আতঙ্ক এবং ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে ১৩১ জন প্রাণ হারান। সেই ঘটনায় আরেমা ক্লাবের দুই কর্তাকে আগেই আজীবন নির্বাসিত করেছে ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল সংস্থা।
ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেয়েছেন পুলিশপ্রধান। স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের একাধিক গাফিলতি খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় পুলিশের প্রধান লিস্তো সিগিট প্রাবোয়ো বলেছেন, স্টেডিয়ামটি ফুটবল ম্যাচ আয়োজনের নির্দিষ্ট মানের নয়। তাদের কাছে কোনও অনুমতি বা শংসাপত্রও নেই। ম্যাচের চিফ এক্সিকিউটিভ, প্রধান নিরাপত্তা আধিকারিক এবং পুলিশের তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও ইন্দোনেশিয়ার পেশাদার ফুটবল লিগের প্রধান দাবি করেছিলেন, ম্যাচ আয়োজনের সমস্ত অনুমতি এবং ব্যবস্থা ছিল স্টেডিয়ামে।
পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, দু’জন আধিকারিক পুলিশকর্মীদের কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানোর নির্দেশ দেন। ১১জন পুলিশকর্মী কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটান। তাতেই ফুটবল সমর্থকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। প্রাণ বাঁচাতে যে দিকে পারেন ছুটতে শুরু করেন। ভিড়ের ধাক্কায় পড়ে গিয়ে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ফিফার নিয়ম অনুযায়ী ফুটবল মাঠে কাঁদানে গ্যাস এবং গুলি ব্যবহার করা যায় না।