ইস্টবেঙ্গলের কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন। ছবি আইএসএল
শুরুটা ভাল করেও আইএসএলের প্রথম ম্যাচে হেরে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। কেরল ব্লাস্টার্সের কাছে হারতে হয়েছে ১-৩ ব্যবধানে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, রক্ষণ এবং মিডফিল্ড নিয়ে কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনের চিন্তা অনেকটাই বেড়েছে। শুক্রবারের ম্যাচে মোটেই মন ভোলাতে পারেনি এই দুই বিভাগ। হারের পিছনে তাই অনেক দোষত্রুটি খুঁজে পেয়েছেন ব্রিটিশ কোচ।
ম্যাচের পর স্টিভন বলেছেন, “কোনও অজুহাত দিতে চাই না। তরুণ একটা দল নিয়ে ৬-৭ সপ্তাহ অনুশীলন করতে পেরেছি। প্রথমার্ধে আমরা সুযোগ পেয়েছি। দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের মনঃসংযোগে ঘাটতি ছিল। (আদ্রিয়ান) লুনা যখন গোল করে, তখন ওকে ওই জায়গায় পৌঁছতে দেওয়া ঠিক হয়নি। ওর সঙ্গে আমাদের কারও জুড়ে থাকা উচিত ছিল। আমাদের তো ভুল হয়েছেই। তবে কিছু ভাল দিকও আছে। কেরল গত বার চতুর্থ স্থানে শেষ করেছিল। ওদের সেই দলই খেলছে একই কোচের অধীনে। তা সত্ত্বেও প্রথমার্ধে আমরা ওদের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়েছি। দ্বিতীয়ার্ধে ছন্দ হারাই। পরের দুটো গোল আমরা নিজেদের দোষে খেয়েছি।”
শেষ কুড়ি মিনিটে কোথাও কি ভিপি সুহের, শৌভিক চক্রবর্তীদের শারীরিক সক্ষমতায় ঘাটতি হয়েছিল? স্টিভন উল্লেখ করেছেন ম্যাচ প্র্যাকটিসের কথা। বলেছেন, “একটা দল যত ম্যাচ খেলে, তত তারা ম্যাচের উপযোগী হয়ে ওঠে। মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে ডুরান্ড কাপের শেষ ম্যাচে সেটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। ওটাই এই মরশুমে আমাদের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা ছিল এবং আমরা ভালই খেলেছিলাম। ঠিকঠাক পরিবর্তন করে খেলোয়াড় নামিয়েছিলাম। এই হার থেকে শিক্ষা নিতে হবে আমাদের। এর পর কলকাতায় এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে খেলব। এখন থেকেই সেই ম্যাচের ভাবনাচিন্তা শুরু করতে হবে।”
হারলেও কেরলের দর্শকদের নিয়ে খুশি ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ। তাঁর মতে, যেমন দেখেছিলেন, ভারতীয় ফুটবলের উন্মাদনা তেমনই রয়েছে। বলেছেন, “দু’বছর পরে সমর্থকদের সামনে মাঠে নামার অভিজ্ঞতা অবশ্যই দুর্দান্ত। ভারতীয় ফুটবলের জনপ্রিয়তা যে এখনও ছিটেফোঁটা কমেনি তা এর থেকেই বোঝা যায়। আমার মনে হয় ভারতের নিয়মিত এশিয়ান কাপের মূলপর্বে যোগ্যতা অর্জন করা উচিত। ভবিষ্যতে ভারতকে বিশ্বকাপে দেখা যেতেই পারে।”