বলিউডের ‘শাহেনশা’ অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে বলি অভিনেত্রী রেখার প্রেমকাহিনি বলিপাড়ায় বহুলচর্চিত। কিন্তু অমিতাভের ‘পুত্র’ও রেখার প্রেমে হাবুডুবু খেতেন। তা আড়ালে ছিল বহু বছর। তবে তিনি অভিষেক বচ্চন নন। তিনি বচ্চনের ‘দত্তক পুত্র’। হিন্দি চলচ্চিত্রজগতের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি।
২০০৩ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘বাগবান’। অমিতাভ এবং হেমা মালিনী অভিনীত এই ছবিতে তাঁদের দত্তকপুত্রের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় বলি অভিনেতা সলমন খানকে। রেখার প্রেমে পড়েছিলেন তিনিই।
কৈশোর পার করার আগেই রেখার প্রেমে পড়েছিলেন সলমন। এ কথা জানিয়েছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী নিজেই। তাঁকে নাকি যত্রতত্র অনুসরণ করতেন সলমন।
২০১৪ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘সুপার নানি’ নামের একটি হিন্দি ছবি। এই ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেন রেখা। ছবির প্রচারে সেই সময় ‘বিগ বস্’ নামের জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শোয়ে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রেখা। শোয়ের সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সলমন। তখনই সলমনের গোপন ঝুলি খুলে ফেলেন রেখা।
রেখা জানিয়েছিলেন, সলমনের যখন সাত-আট বছর বয়স, তখন থেকেই নাকি রেখার পিছু নিতেন অভিনেতা। রেখা যেখানে যেতেন, সেখানেই নায়িকার পিছু পিছু সাইকেল চালিয়ে চলে যেতেন সলমন।
রেখার কথায়, সলমন এত সরল ছিলেন যে তাঁকে বিয়ে করার ইচ্ছাপ্রকাশও করেছিলেন। সে কথা আবার সলমন তাঁর পরিবারের সকলকে জানিয়েও দিয়েছিলেন। রেখা সে কথা জানালে সলমন মজা করা শুরু করেন অভিনেত্রীর সঙ্গে।
সলমন হেসে বলেছিলেন, ‘‘আপনাকে বিয়ে করতে পারিনি বলেই আমার এখনও বিয়ে হয়নি।’’ রেখাও প্রত্যুত্তরে বলেছিলেন, ‘‘আমারও মনে হয় একই কারণে বিয়ে হয়নি।’’
রেখার প্রতি অনুভূতির কথা স্বীকার করেছিলেন সলমনও। তিনি জানিয়েছিলেন যে, রেখাকে দেখার জন্যই নাকি সলমন যোগ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রোজ বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে যেতেন।
সলমন বলেছিলেন, ‘‘আমার যোগের প্রতি কোনও আগ্রহ ছিল না। কিন্তু ছোটবেলায় রোজ প্রশিক্ষণকেন্দ্রে চলে যেতাম। আমি একা নই, বন্ধুবান্ধবেরাও যেত আমার সঙ্গে। তার কারণ ছিলেন রেখা।’’
সলমন জানিয়েছিলেন, তিনি যে প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ভর্তি হয়েছিলেন সেখানকার প্রশিক্ষক ছিলেন রেখা। রেখার কাছাকাছি থাকার সুযোগ পাবেন বলে সেখানে চলে যেতেন সলমন।
চলতি বছরে ইদ উপলক্ষে মুক্তি পাওয়ার কথা সলমন অভিনীত ‘সিকন্দর’ ছবির। ৯০ দিন ধরে এই ছবির শুটিং চলেছে মুম্বই, হায়দরাবাদের বিভিন্ন প্রান্তে। সলমনের বিপরীতে এই ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যাবে দক্ষিণী অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দনাকে।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, ১৯৯০ সালে দিল্লির ব্যবসায়ী মুকেশ আগরওয়ালকে বিয়ে করেছিলেন রেখা। কিন্তু ছ’মাসও সংসার করতে পারেননি অভিনেত্রী।
কানাঘুষো শোনা যেতে থাকে, মুকেশের সঙ্গে অধিকাংশ বিষয় নিয়ে মতবিরোধ হত রেখার। নিত্য অশান্তি সহ্য করতে না পেরে রেখা নাকি বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সে কথা জানতে পেরেই নাকি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন মুকেশ। ১৯৯০ সালে আত্মহত্যা করেন তিনি।