আন্তর্মহাদেশীয় কাপ নিয়ে উচ্ছ্বাস ভারতীয় দলের। ছবি: টুইটার
লেবাননের বিরুদ্ধে আন্তর্মহাদেশীয় কাপের প্রথমার্ধে মোটেই সন্তোষজনক ফুটবল খেলতে পারেনি ভারত। এক গাদা মিস্ পাসের ছড়াছড়ি, বল নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা, রক্ষণে তালমিলের অভাব, ইত্যাদি সমস্যা ছিল। ভাগ্য খারাপ থাকলে গোলও খেয়ে যেতে পারত তারা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। দেখা যায় আগ্রাসী ভারতকে। সেই বদল আসে বিরতিতে সাজঘরে সুনীল ছেত্রীরা কোচ ইগর স্তিমাচের বকুনি খাওয়ার পরেই। বিরতির দু’মিনিট পরে গোল করেন সুনীল। পরে আরও একটি গোল করেন লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে।
ম্যাচের পর সেই গোপন কথা প্রকাশ্যে এনেছেন সুনীল। বিরতিতে সাজঘরের অবস্থা সম্পর্কে বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, “কোচের কাছ থেকে আমাদের সবাইকে কড়া বকুনি খেতে হয়েছে। আগের ম্যাচে যা খেলেছিলাম, প্রথমার্ধে তার ধারেকাছেও যেতে পারিনি আমরা। তাই কোচের বকুনি আমাদের সবাইকে চাঙ্গা করে তোলে। অনেক কথাই বলেছেন উনি। কিছু কথা তো এখানে বলাও যাবে না। কিন্তু আমরা জানতাম অনেক ভাল খেলতে পারি। দিনের শেষে সেই বকুনি খাওয়ার জন্যে কোনও আক্ষেপ নেই। জিততে পেরেছি এটাই বড় কথা।”
স্তিমাচ বলেছেন, “প্রত্যেকটা ম্যাচে জেতা দরকার। জয়ের পর আমি খুশি। কিন্তু বিরতিতে মোটেও খুশি ছিলাম না। প্রথম ১০ মিনিটে ভাল খেলার পর সব কোথায় হারিয়ে গেল। ওদের ২০ মিনিট ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণ করতে দিলাম, যেটা একেবারেই উচিত হয়নি। সাজঘরে কী বলেছি সেটা আর বলছি না। কিন্তু কাজে যে লেগেছে তা সবাই বুঝতে পারছে।”
ক্রোয়েশিয়ার প্রাক্তন ফুটবলার অবশ্য এই সাফল্যেও খুশি নন। ভারতের খেলার মান আরও বাড়ানোই লক্ষ্য তাঁর। বলেছেন, “এশিয়ান কাপের আগে অনেক কাজ করতে হবে আমাদের। পজিশনিং, দৌড়ের গতি, কখন বল মাটিতে রেখে খেলতে হবে সব শেখাতে হবে। লেবানন সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়া বা উজবেকিস্তান সেই সুযোগ দেবে না।”