লক্ষ্য: সুনীলকে জয় উপহার দিতে মরিয়া শুভাশিসরা। —নিজস্ব চিত্র।
রুদ্ধদ্বার যুবভারতীতে সোমবার বিকেলে ভারতীয় দলের অনুশীলনের প্রায় পুরোটা জুড়েই ছিল নিজেদের মধ্যে পাস খেলতে খেলতে আক্রমণে ওঠার মহড়া! কারণ, অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী খোলাখুলি জানিয়েছিলেন, কুয়েত নিজেদের মধ্যে প্রচুর পাস খেলে আক্রমণ শানায়। কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার মতো ভারতীয় দলের রণকৌশলও নিজেদের মধ্যে অসংখ্য পাস খেলে বিপক্ষের ছন্দ নষ্ট করে দেওয়া।
ফিফা ক্রমতালিকায় ভারত ১২১তম স্থানে। কুয়েত রয়েছে ১৩৯ নম্বরে। কোচ ইগর স্তিমাচ থেকে শুরু করে ফুটবলারদের কেউ-ই তা নিয়ে ভাবছেন না। শুভাশিস বসু বলেন, ‘‘কুয়েত খুবই ভাল দল। দুর্দান্ত ফুটবলার রয়েছে। দুই প্রান্ত দিয়ে দ্রুত গতিতে আক্রমণে ওঠে। দূরপাল্লার শটে গোল করার চেষ্টা করে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে, রক্ষণ মজবুত করে খেলা। ভারতীয় দলের আক্রমণ ভাগে একাধিক ফুটবলার রয়েছে। ওদের ঠিক মতো ব্যবহার করতে হবে।’’ যোগ করলেন, ‘‘এই ম্যাচে মাথা ঠান্ডা রেখে খেলতে হবে। আমাদের আক্রমণ ভাগের যা শক্তি, গোল পাবই।’’
কুয়েতের প্রান্তিক আক্রমণের ঝড় থামানোর দায়িত্ব অনেকটাই লেফ্টব্যাক শুভাশিসের উপরে থাকবে। কী ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন? মোহনবাগান অধিনায়কের কথায়, ‘‘কুয়েতের খেলার অনেক ভিডিয়ো আমাকে দেখিয়েছেন কোচ। চেষ্টা করব ওদের আক্রমণ থামাতে।’’
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের তৃতীয় পর্যায়ে প্রথমবার ভারতীয় দল উঠতে পারবে কি না নির্ভর করছে কুয়েত দ্বৈরথের ফলের উপরেই। এই ম্যাচেই শেষ বারের মতো জাতীয় দলের হয়ে খেলবেন সুনীল। এই পরিস্থিতি কি বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে? শুভাশিস বললেন, ‘‘এই ম্যাচ জিতলে প্রথমবার তৃতীয় পর্যায়ে উঠে ইতিহাস গড়ার হাতছানি রয়েছে আমাদের সামনে। কুয়েতকে হারিয়েই জাতীয় দলের জার্সিতে সুনীল ভাইয়ের শেষ ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখতে চাই।’’
ভারতীয় দলের ভবিষ্যৎ অধিনায়ক হিসেবে গুরপ্রীত সিংহ সাঁধু, সন্দেশ জিঙ্ঘন, রাহুল ভেকের পাশাপাশি শুভাশিসকেও বেছেছেন সুনীল। আপ্লুত বঙ্গ ডিফেন্ডার বললেন, ‘‘সুনীল ভাইয়ের অবসরের পরে জাতীয় দলে একটা শূন্যতা সৃষ্টি হবে। আমাদের সকলকে তা পূরণ করার দায়িত্ব নিতে হবে। আমি যদি নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পাই, নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টাই করব। সুনীল ভাইয়ের কাছেই তো শিখেছি, কী ভাবে নেতৃত্ব দিতে হয়।’’