প্রতীকী ছবি
আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে সংস্থার সংবিধান ভঙ্গের অভিযোগ আনলেন জর্জ টেলিগ্রাফের ডিরেক্টর অনির্বাণ দত্ত। তাঁর অভিযোগ, কোষাধ্যক্ষের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ খালি হলে ৩০ দিনের মধ্যে শূন্যস্থান পূরণ করার নিয়ম রয়েছে আইএফএ-র সংবিধানে। ২৫ জানুয়ারি সময়সীমা অতিক্রান্ত হলেও এখনও নির্বাচনের ঘোষণা হয়নি। ফলে কোষাধ্যক্ষের পদ খালি পড়ে রয়েছে। তবে জয়দীপের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, অতিমারির কারণেই এখন নির্বাচন করা সম্ভব হচ্ছে না। সংবিধান ভঙ্গের অভিযোগ স্বীকার করতে চাননি তিনি।
গত ২৬ ডিসেম্বর প্রয়াত হন আইএফএ-র কোষাধ্যক্ষ কৃষ্ণেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি তাঁর স্মরণসভাও হয়েছে আইএফএ-তে। সেই পদে এখনও কাউকে আনা হয়নি। চিঠিতে অনির্বাণ লিখেছেন, সংবিধানের ৮ (ডি) ধারা ভঙ্গ করেছে আইএফএ। তাঁর অভিযোগ, “সংবিধানে সুনির্দিষ্ট ভাবে ৩০ দিনের মধ্যে নিয়োগের কথা বলা হলেও তা মানা হয়নি। কোনও নির্বাচনও ডাকা হয়নি। আমার ধারণা, নির্বাচন পিছিয়ে পছন্দের লোক বসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আর্থিক লেনদেনের জন্য আচমকাই তিন জনকে দায়িত্ব দেওয়া হল। কী ভাবে সেটা জানা নেই। সংবিধান একেবারেই মেনে চলা হচ্ছে না।”
চিঠির প্রসঙ্গে জয়দীপের সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “উনি গভর্নিং বডির সদস্য নন। তাই হয়তো জানেন না। আমরা ইতিমধ্যেই গভর্নিং বডির সমস্ত সদস্যকে ই-মেল করে নির্বাচন পিছনোর ব্যাপারে জানিয়েছি। পাশাপাশি, এআইএফএফ, রাজ্য সরকার এবং সোসাইটিজ রেজিস্ট্রেশন দপ্তরকেও জানানো হয়েছে। অতিমারির জন্য এই মুহূর্তে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। গভর্নিং বডির ৮৫ শতাংশ সদস্যই এ ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন। জেলা সংস্থাগুলির অনেক কর্তাই এই পরিস্থিতিতে ভোট দিতে আসার ব্যাপারে তাঁদের অপারগতার কথা আমাদের জানিয়েছেন। আইএফএ-র দপ্তরে এখন নির্বাচন করতে গেলে সরকারি নিয়ম ভাঙতে হবে। সেটা সম্ভব নয়। তাই জন্যেই আপাতত আর্থিক লেনদেনের জন্য গভর্নিং বডির ৩ সদস্যকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সংবিধানের নিয়ম ভাঙার কোনও অভিপ্রায় আমাদের নেই।”