রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস আইএফএ-র যে সমালোচনা করেছিলেন, প্রকাশ্যে তার কড়া জবাব দিলেন বাংলার ফুটবল নিয়ামক সংস্থার সচিব। ফাইল ছবি
বাংলার ফুটবল যত রসাতলে যাচ্ছে, ততই চরম আকার নিচ্ছে সরকার-আইএফএ সংঘাত। রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস আইএফএ-র যে সমালোচনা করেছিলেন, প্রকাশ্যে তার কড়া জবাব দিলেন বাংলার ফুটবল নিয়ামক সংস্থার সচিব অনির্বাণ দত্ত।
সন্তোষ ট্রফির মূলপর্বে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে বাংলা। গ্রুপে সবার তলায় শেষ করেছে তারা। গত মঙ্গলবার মোহনবাগানের ক্রীড়া গ্রন্থাগারের উদ্বোধনে এসে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী বাংলা দলের কোচ এবং ফুটবলারদের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তার জবাব দিল আইএফএ। অনির্বাণ তিন পাতার একটি চিঠিতে যাবতীয় অভিযোগ খণ্ডন করেছেন।
অরূপ অভিযোগ করেছিলেন, বাংলার ফুটবলে এখন ‘কোটা সিস্টেম’ চলছে। যে কারণে যোগ্য ফুটবলাররা বাদ পড়ছেন। তার বদলে এই ক্লাবের, ওই ক্লাবের পছন্দের ফুটবলাররা দল ভরাচ্ছেন। গত বার সন্তোষে যিনি বাংলাকে রানার্স করিয়েছিলেন, সেই রঞ্জন ভট্টাচার্যকে এ বার বাদ দেওয়া নিয়েও তিনি উষ্মাপ্রকাশ করেন।
এরই জবাব দিয়েছেন অনির্বাণ। চিঠিতে তাঁর দাবি, আইএফএ কর্তারা একার হাতে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। বিভিন্ন বিষয়ের কমিটি রয়েছে। তারাই সিদ্ধান্ত নেয়। সন্তোষের কোচ নির্বাচনেও একটি কোচেস কমিটি তৈরি হয়েছিল। সেখানে ছিলেন তপনজ্যোতি মিত্র, অলোক মুখোপাধ্যায়, অমিত ভদ্র, কুন্তলা ঘোষ দস্তিদার, জামশিদ নাসিরি, অশোক চন্দ এবং অরুণ ঘোষের মতো প্রাক্তন ফুটবলাররা।
বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, রঞ্জন চৌধুরী এবং রঞ্জন ভট্টাচার্যকে (সন্তোষে রানার্স দলের কোচ) মনোনীত করা হয়েছিল। রঞ্জন ভট্টাচার্যকে জাতীয় গেমসে বাংলার কোচ হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি গ্রহণ করেননি। তার পরেই বিশ্বজিৎকে কোচ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং তাঁর অধীনে জাতীয় গেমসে বাংলা চ্যাম্পিয়ন হয়। ফলে তাঁকেই সন্তোষ ট্রফিতে কোচ করা হয়।
সন্তোষের আগে প্রতিটি ক্লাবকে চিঠি পাঠিয়ে ফুটবলারদের ট্রায়ালে পাঠানোর অনুরোধ করা হয় এবং ট্রায়ালে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের মধ্যে থেকেই সেরা ফুটবলারদের বেছে নেন বিশ্বজিৎ। ভাল পারফরম্যান্সের জন্যে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে প্রস্তুতি শিবিরও করা হয়েছে। ফুটবলার নির্বাচনে আইএফএ-র কোনও হাত নেই বলে দাবি করেছেন অনির্বাণ।
তিনি এ-ও আশ্বাস দিয়েছেন, সন্তোষের পারফরম্যান্সে আপামর ফুটবলপ্রেমীর মতো তাঁরাও ব্যথিত। ব্যর্থতার কারণ জানতে একটি কমিটি গড়ে অনুসন্ধান করা হবে।
(ভ্রম সংশোধন: প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশের সময় লেখা হয়েছিল, রঞ্জন চৌধুরিকে কোচ না করা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। আসলে তিনি উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন রঞ্জন ভট্টাচার্যকে কোচ না করা নিয়ে। অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।)