AIFF

FIFA Ban: নির্বাসনের ঘটনাপ্রবাহ: কবে, কী ভাবে ডুবল ভারতীয় ফুটবল

তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কারণে ভারতীয় ফুটবলকে মঙ্গলবার নির্বাসিত করে ফিফা। সেই নির্বাসনের আগে ছিল নানা ধাপ। দেখে নেওয়া যাক কবে কী হল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২২ ১১:৪৬
Share:

গত তিন মাসে নানা ঘটনা ঘটেছে ভারতীয় ফুটবলে। প্রতীকী ছবি

১৮ মে, ২০২২

Advertisement

প্রফুল্ল পটেল এবং এআইএফএফ-এর সব আধিকারিককে তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। গড়া হয় কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স (সিওএ)। তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয় এআইএফএফ-এর সমস্ত কাজ দেখার। সংস্থার নতুন নিয়ম তৈরি করার দায়িত্বও দেওয়া হয় তাদের।

২৯ মে, ২০২২

Advertisement

সিওএ জানায় সেপ্টেম্বরের শেষে এআইএফএফ-এর নতুন নিয়ম তৈরি হবে।

১১ জুন, ২০২২

এআইএফএফ-র নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয় সিওএ। জাতীয় ক্রীড়া আইন, ফিফা এবং এএফসি-র নিয়ম অনুযায়ী যত দ্রুত সম্ভব সেই নির্বাচন হবে বলে ঠিক হয়।

২১ জুন, ২০২২

ফিফা এবং এএফসি-র দল আসে ভারতে। তাদের সঙ্গে সিওএ-র সদস্যদের বৈঠক হয়। এআইএফএফ-এর সমস্ত কাজ দেখার জন্য ১২ জনের একটি উপদেষ্টা কমিটি তৈরি করা হয়। সেই কমিটি নিয়মিত সিওএ-কে রিপোর্ট পাঠাবে এবং তাদের সম্মতি নিয়ে কাজ করবে বলে ঠিক হয়।

২৩ জুন, ২০২২

তিন দিনের সফর শেষে ফিফা এবং এএফসি-র কর্তারা ফিরে যান এই আশ্বাস নিয়ে যে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এআইএফএফ-এর নতুন নিয়ম তৈরি করা হবে এবং সেপ্টেম্বরের শেষে হবে নির্বাচন।

৬ জুলাই, ২০২২

সিওএ-র সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক হয় রাজ্য সংস্থাগুলির। নিয়মাবলী নিয়ে আলোচনা হয় সেখানে।

১৬ জুলাই, ২০২২

এআইএফএফ-এর সমস্ত নিয়ম তৈরি করে সুপ্রিম কোর্টের কাছে জমা দেওয়া হয় অনুমোদনের জন্য।

১৮ জুলাই, ২০২২

রাজ্য সংস্থাগুলি এআইএফএফ-এর বেশ কিছু নতুন নিয়মের সঙ্গে একমত হতে পারেনি। তার পরেও তারা ওই নিয়ম মানতে রাজি ছিল। ফিফা যাতে নির্বাসিত না করে সেই কারণেই নিয়ম মানতে রাজি ছিল রাজ্য সংস্থাগুলি। রাজ্য সংস্থার সাত সদস্যের একটি প্যানেল ফিফাকে নতুন নিয়মাবলীর একটি খসড়া পাঠায়। সেই সঙ্গে কোন কোন নিয়মের সঙ্গে তারা সহমত নয়, সেটাও জানায়।

২১ জুলাই, ২০২২

খসড়া সংবিধান নিয়ে ফেডারেশন এবং রাজ্য সংস্থাগুলির আপত্তি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট সব পক্ষকে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে জবাব দিতে বলল। পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হল ২৮ জুলাই।

২৬ জুলাই, ২০২২

ফেডারেশনকে ফিফা প্রস্তাব দিল, তাদের কার্যকরী কমিটিতে ২৫ শতাংশ প্রাক্তন ফুটবলার রাখা হোক। সিওএ-র খসড়া সংবিধানে ৫০ শতাংশ প্রাক্তনদের রাখার কথা বলা হয়েছিল।

২৮ জুলাই, ২০২২

সুপ্রিম কোর্ট ৩ অগস্ট পর্যন্ত শুনানি পিছিয়ে দিল। অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ আয়োজনকে অগ্রাধিকার দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, যদিও আদালত ফেডারেশনের সম্পূর্ণ কমিটি তৈরি করে দিতে পারবে না, নির্বাচন সংক্রান্ত নির্দেশ দেবে।

৩ অগস্ট, ২০২২

সুপ্রিম কোর্ট তার অন্তবর্তিকালীন রায়ে ফেডারেশনকে বলল, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করতে। অক্টোবরে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ ফুটবলের আগেই নির্বাচন করার নির্দেশ দেওয়া হল। সিওএ নির্বাচনী নির্ঘণ্টের প্রস্তাব দিল। সেই প্রস্তাব অনুযায়ী ২৮ বা ২৯ অগস্ট নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে। আদালত সেই প্রস্তাব মেনে নিল। আদালত ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ তৈরির নির্দেশ দিল। সেখানে রাজ্য সংস্থার ৩৬ জন প্রতিনিধি এবং ৩৬ জন প্রাক্তন ফুটবলারকে রাখার নির্দেশ দেওয়া হল।

৬ অগস্ট, ২০২২

ফেডারেশনকে নির্বাসিত করার হুমকি দিল ফিফা। একই সঙ্গে বলা হল, অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের দায়িত্ব কেড়ে নেওয়া হতে পারে।

৭ অগস্ট, ২০২২

ফিফাকে সিওএ কথা দিল, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফেডারেশনের অচলাবস্থা তারা দূর করবে। একই সঙ্গে বরখাস্ত সভাপতি প্রফুল্ল পটেল ফেডারেশনের ব্যাপারে নাক গলাচ্ছেন বলে অভিযোগ করল।

১০ অগস্ট, ২০২২

প্রফুল্ল এবং বিভিন্ন রাজ্য সংস্থার কর্তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করল সিওএ।

১৩ অগস্ট, ২০২২

সুব্রত দত্ত এবং লারসিং মিং ফেডারেশনের নির্বাচনে লড়ার জন্য যে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন, তা খারিজ করে দিলেন রিটার্নিং অফিসার উমেশ সিংহ।

১৫ অগস্ট, ২০২২

ফিফা কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রককে জানাল, প্রাক্তন ফুটবলারদের মনোনয়ন রাজ্য সংস্থাগুলির মাধ্যমে আসতে হবে। ব্যক্তিগত ভাবে কেউ মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন না।

১৬ অগস্ট, ২০২২

ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে নির্বাসিত করল ফিফা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement