তীব্র সমালোচনা এবং প্রতিবাদের পর চাকরি ফিরে পেলেন লিনেকার। ছবি: টুইটার।
আবার বিবিসির ‘ম্যাচ অফ দ্য ডে’ অনুষ্ঠানে দেখা যাবে গ্যারি লিনেকারকে। সরকারের সমালোচনা করে লিনেকার সমাজমাধ্যমে মতামত প্রকাশ করায় তাঁকে সাময়িক ভাবে সরিয়ে দিয়েছিল বিবিসি। সেই ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমটিকে। তার পরই বিবিসি কর্তৃপক্ষ দ্রুত লিনেকারকে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তীব্র সমালোচনার পর সাধারণ মানুষ এবং ফুটবলপ্রেমীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বিবিসি কর্তৃপক্ষ।
১৯৯৯ সাল থেকে ‘ম্যাচ অফ দ্য ডে’ অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত প্রাক্তন ফুটবলার। ২০২১-২২ সালে এই অনুষ্ঠান থেকে লিনেকারের আয় ছিল প্রায় ১৩ কোটি টাকা। গত সপ্তাহে হঠাৎই তাঁকে সাময়িক ভাবে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান বিবিসি কর্তৃপক্ষ। ইংল্যান্ডের একটি সংবাদ পত্রের দাবি, বিবিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে লিনেকারের আলোচনায় সমাধান সূত্র পাওয়া গিয়েছে। ১৮ মার্চের অনুষ্ঠানে আগের মতোই থাকবেন লিনেকার। ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অসংখ্য মানুষের প্রতিবাদকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন বিবিসি কর্তৃপক্ষ।
দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বিবিসির ডিরেক্টর জেনারেল টিম ডেভি বলেছেন, ‘‘আমরা সকলে উপলব্ধি করেছি, আমাদের দর্শক, শ্রোতাদের জন্য অত্যন্ত কঠিন সময় গিয়েছে। এর জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। সমাজমাধ্যম নিয়ে বিবিসির নির্দেশিকায় কিছু অস্বচ্ছতা রয়েছে। সেই কারণেই সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আমরা সমস্যার সমাধান করেছি।’’
কয়েক দিন আগে ব্রিটিশ সরকার অভিবাসী নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি নীতি নিয়েছে। বলা হয়েছিল, ছোট ছোট নৌকা করে জল পথে বেআইনি ভাবে ব্রিটেনে অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দেওয়া হবে না। লিনেকার এই নীতির সমালোচনা করে মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘অতিরিক্ত নিষ্ঠুর নীতি। সবচেয়ে দুর্বল মানুষদের জন্য যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, তা ৩০ দশকে জার্মানির ব্যবহৃত নীতির থেকে আলাদা নয়।’’
এর পরই রাজরোষ থেকে বাঁচতে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ফুটবল অধিনায়ককে সাময়িক ভাবে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিবিসি কর্তৃপক্ষ। চ্যানেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ছিল, ‘‘সমাজমাধ্যমে লিনেকারের সাম্প্রতিক মন্তব্য আমাদের নির্দেশিকা লঙ্ঘন করেছে। দলীয় রাজনীতি, বিতর্ক বা রাজনৈতিক পক্ষ নেওয়া থেকে তাঁর দূরে থাকা উচিত। সমাজমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে লিনেকারকে আমাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে।’’