ইটালির প্রাক্তন ফুটবলার ভিয়ালি চেলসির হয়ে ৮৭ ম্যাচে ৪০ গোল করেছেন। তার আগে ইটালির ঘরোয়া লিগে সাম্পাদোরিয়া এবং জুভেন্টাসের হয়ে খেলেছেন। প্রতীকী ছবি
শরীরে ক্যানসার ফিরে আসার কারণে গত মাসের মাঝামাঝি সরে দাঁড়িয়েছিলেন ইটালির সহকারী কোচের দায়িত্ব থেকে। কথা দিয়েছিলেন, রোগ সারিয়ে দ্রুত ফিরে আসবেন। সেই কথা রাখতে পারলেন না জিয়ানলুকা ভিয়ালি। অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে শুক্রবার মৃত্যু হল ইটালির প্রাক্তন ফুটবলারের। সে দেশের ক্লাব সাম্পাদোরিয়ার তরফে এই খবর জানানো হয়েছে। ৫৮ বছর বয়সে মৃত্যু হল ইটালির দু’বারের বিশ্বকাপের দলে থাকা সদস্যের।
ইটালির সিরি আ-র ক্লাব সাম্পাদোরিয়া এক বিবৃতিতে লিখেছে, “তুমি আমাদের অনেক কিছু দিয়েছ। আমরাও তোমাকে অনেক কিছু দিয়েছি। আমাদের মধ্যে অফুরান ভালবাসা ছিল। এমন একটা বন্ধন, যা কোনও ভাবেই তোমার মৃত্যুর সঙ্গে শেষ হয়ে যাবে না। আমরা তোমাকে ভালবেসে এবং শ্রদ্ধা জানিয়েই যাব। কারণ তুমি জানো, তুমি পেলের থেকেও ভাল। যা কিছুই হোক না কেন, আমাদের বন্ধন কোনও দিনই ভাঙবে না।” ইটালির আর এক ক্লাব উদিনেসে লিখেছে, “মাঠ এবং মাঠের বাইরে একজন দারুণ মানুষ, চ্যাম্পিয়ন এবং লড়াকু। খুব তাড়াতাড়ি আমাদের ছেড়ে চলে গেলে। তবে তোমাকে আমরা কোনও দিন ভুলব না।”
২০১৭-এ অগ্ন্যাশয়ে ক্যানসার ধরা পড়েছিল ভিয়ালির। তিন বছর পরে জানানো হয়, আর কোনও বিপদের সম্ভাবনা নেই। কিন্তু এক বছর পরেই ফিরে আসে ক্যানসার। গত ডিসেম্বরে যখন ভিয়ালির ক্যানসার ধরা পড়ে, তখন শরীরের দিকে নজর দেওয়ার কারণেই ফুটবল সংক্রান্ত কোনও কাজের সঙ্গে জড়িত থাকতে চাননি তিনি। সেই বিরতিও বাঁচাতে পারল না তাঁকে।
২০২১-এ ইউরো কাপ জিতেছিল ইটালি। সেই দলের কোচ রবার্তো মানচিনিকে সাহায্য করেছিলেন তাঁর কোচিং স্টাফের সদস্য ভিয়ালি। সেই বছরেরই শেষের দিকে ক্যানসার ফেরার পরেও তিনি ছিলেন অদম্য। জানিয়েছিলেন, লড়াই শেষ হয়নি। বলেছিলেন, “টিউমার এখনও রয়েছে অনাহূত অতিথির মতোই। আপাতত শরীরের দিকে নজর দিচ্ছি। আমি লড়াই চালিয়ে যেতে চাই। আরও অনেক বছর ফুটবলের হয়ে কাজ করতে চাই।”
২০১৭-এ অগ্ন্যাশয়ে ক্যানসার ধরা পড়েছিল ভিয়ালির। ফাইল ছবি
ইটালির প্রাক্তন ফুটবলার ভিয়ালি চেলসির হয়ে ৮৭ ম্যাচে ৪০ গোল করেছেন। তার আগে ইটালির ঘরোয়া লিগে সাম্পাদোরিয়া এবং জুভেন্টাসের হয়ে খেলেছেন। দু’টি দলের হয়েই লিগ জিতেছেন। জুভেন্টাসের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগও জিতেছেন। সাম্পাদোরিয়ায় তাঁর সঙ্গে খেলতেন এখনকার ইটালি দলের কোচ মানচিনিও। দু’জনে মিলে বহু গোল করেছেন। সাম্পাদোরিয়া ১৯৯২ সালে তৎকালীন ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালে উঠলেও হারে বার্সেলোনার কাছে। দেশের হয়ে ৫৯ ম্যাচে ১৬টি গোল রয়েছে ভিয়ালির। কিন্তু ক্লাবের ছন্দ কোনও দিনই দেশের হয়ে দেখাতে পারেননি তিনি। ১৯৮৬ এবং ১৯৯০ সালে ইটালির বিশ্বকাপ দলের সদস্য ছিলেন তিনি।