মোহনবাগানের প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসু চাইছেন ‘এটিকে’ নিয়ে সমস্যা দ্রুত মিটে যাক। তিনি আশাবাদী, মিটবেও।
এটিকে মোহনবাগান নিয়ে মুখ খুললেন সৃঞ্জয় বসু
তিনি অভিমানী। তিনি ব্যথিত। তবে রাগ, ক্ষোভ বিন্দুমাত্র নেই। বরং এই আপাদমস্তক মোহনবাগানী চাইছেন ‘এটিকে’ নিয়ে সমস্যা দ্রুত মিটে যাক। মোহনবাগানের প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসু আশাবাদী, মিটবেও।
আনন্দবাজার অনলাইনে ‘মোহনবাগানের নামের আগে এটিকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু’ প্রতিবেদন দেখে সৃঞ্জয় বললেন, ‘‘বলা হচ্ছে, আগের কমিটি এই ব্যাপারে কিছু করেনি, এখনকার কমিটি যা করার করছে। কিন্তু একটা সহজ ব্যাপার বলুন তো, আগের কমিটির সঙ্গে এই কমিটির তফাৎ কতটা? গোটা কমিটিটাই তো প্রায় এক। হ্যাঁ, অবশ্যই সচিব বদল হয়েছে। কিন্তু ১৬-১৭ জনই তো পুরনো।’’
এখনকার সচিব দেবাশিস দত্তের কথা তুলে ধরে সৃঞ্জয় বললেন, ‘‘এটিকে নিয়ে তো আমরা দু’জনেই কথা বলেছি। উনি তো আগে কমিটিতেও অর্থ সচিব হিসেবে ছিলেন। কার্যকরী সমিতি তো আমাদের দু’জনকেই মনোনীত করেছিল। অধিকাংশ জায়গায় তো ওঁরই সই রয়েছে। তাই কমিটি নিয়ে এই রাজনীতিটা না হওয়াই ভাল।’’
এর পরেই অভিমানী মোহনবাগানের প্রাক্তন সচিব। বললেন, ‘‘মোহনবাগানের জন্য আমি আর দেবাশিসদা এক সঙ্গে কত কাজ করেছি। স্পনসর জোগাড় করার জন্য কত জায়গায় ঘুরেছি। কত মানুষের সঙ্গে দেখা করেছি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোচনা করেছি। মোহনবাগানের তো আইএসএল খেলা দরকার ছিল। তার জন্য টাকার দরকার। ফলে স্পনসরও দরকার। স্পনসর না থাকলে কী অবস্থা হয়, সবাই দেখতে পাচ্ছি।’’
শেষ পর্যন্ত মোহনবাগানের নামের আগে থেকে ‘এটিকে’ সরে যাওয়া নিয়ে তিনি কতটা আশাবাদী জানতে চাইলে সৃঞ্জয় বললেন, ‘‘এটা একটা চলমান পদ্ধতি। আগে থেকেই কাজটা শুরু হয়েছে। হয়ত সময় লাগবে। একটা জিনিস বুঝতে হবে, যারা ৫০ কোটি টাকার উপর খরচ করছে, তাদের চাহিদা, দাবিকে তো গুরুত্ব দিতেই হবে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হতেই পারে।’’
এই নিয়ে যে বিক্ষোভ-বিদ্রোহ চলছে, তা নিয়ে সৃঞ্জয়ের বক্তব্য, ‘‘বিক্ষোভ হতেই পারে। কিন্তু সেটা মোহনবাগানের মতো করে হোক। সবুজ-মেরুনের সংস্কৃতি মেনে হোক। কিছু কিছু জায়গায় অত্যন্ত নোংরা ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে, শালীনতার সীমা লঙ্ঘন করছে। যে সব সমর্থক এটা করছেন, তাঁদের উদ্দেশে বলছি, বিক্ষোভ করুন, কিন্তু যে ভাবে হচ্ছে, তা মোহনবাগানের রুচির সঙ্গে যায় না। আমি যখন সচিব ছিলাম, তখনও এগুলো নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। সঞ্জীববাবুকে (গোয়েঙ্কা) ছোটবেলা থেকে চিনি। উনি যে রকম মানুষ তাতে এটিকে নিয়ে সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু সেই জায়গা থেকে এটাও বলতে পারি, হুমকি দিয়ে, চাপ দিয়ে ওঁকে মানানো যাবে না।’’
ক্লাবের কোনও পদে তিনি নেই। তবু মোহনবাগানের প্রতি ভালবাসা থেকে তিনি এখনও সাহায্য করতে রাজি। সেটা বাইরে থেকে হলেও আপত্তি নেই। বললেন, ‘‘আমি ক্লাবে নেই তো কী হয়েছে, রক্তে তো মোহনবাগান রয়েছে। আমি সব সময় মোহনবাগানী। আগে সমর্থক, পরে পদ। তাই কখনও যদি কাজে লাগতে পারি, রাজি আছি সাহায্য করতে। গদিতে থাকি বা না থাকি, এর জন্য পা বাড়িয়ে আছি।’’