অনিরুদ্ধ থাপা (বাঁ দিকে) ও সুনীল ছেত্রী। ছবি: সংগৃহীত।
এই মাঠেই চলতি মরসুমে আইএসএলের লিগ-শিল্ড জিতেছেন অনিরুদ্ধ থাপা। সেই মাঠে আগামী ৬ জুন আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে নামবেন তিনি। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের লড়াইয়ে টিকে থাকতে সেই ম্যাচে জিততেই হবে ভারতকে। কুয়েতের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচ ভারতীয় জার্সিতে সুনীল ছেত্রীর বিদায়ী ম্যাচও বটে। সেই ম্যাচের আগে প্রতিজ্ঞা করলেন অনিরুদ্ধ থাপা। কী বললেন মোহনবাগানের ফুটবলার?
কুয়েতকে হারিয়ে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের তৃতীয় রাউন্ডে ওঠার চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন থাপা। তিনি বলেন, “এটা আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। সুনীল ভাইয়ের কাছেও তাই। আমরা ওই ম্যাচ জিতবই। কারণ, তৃতীয় রাউন্ডে আমাদের উঠতেই হবে। সেটা ভারতীয় ফুটবলের জন্য একটা বড় ধাপ হবে। আমি জানি যুবভারতী ভর্তি থাকবে। আমি জানি ওখানকার সমর্থকদের আবেগ কতটা। আমরা নিজেদের সেরাটা দেব। আমরা জিতবই। প্রতিজ্ঞা করছি।”
বিদায়ী ম্যাচের আগে সুনীলের সঙ্গে ভুবনেশ্বরের শিবিরে রয়েছেন থাপা। সেখানে তাঁদের কথা হয়েছে। সুনীল তাঁদের কী বলেছেন সেই কথাও জানিয়েছেন থাপা। দলের মিডফিল্ডার বলেন, “সুনীল ভাই সব সময় আমাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে চলে। ও বলেছে মাঠে নেমে উপভোগ করতে। খুব বেশি চাপ না নিতে। ওর কথা না ভেবে দেশের কথা ভাবতে। আমরা নিজেদের সেরাটা দেব। যুবভারতী থেকে খালি হাতে ফিরব না।”
ভারতীয় দলে সাত বছর ধরে খেলছেন থাপা। মাত্র ২৬ বছর বয়সেই দেশের হয়ে ৫৭টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তিনি। সুনীল ও গুরপ্রীত সিংহ সান্ধুর পরে তৃতীয় সর্বাধিক ম্যাচ খেলেছেন এই মিডফিল্ডার। সুনীলের ৯৪টি গোলের মধ্যে চারটি গোলের পাস তাঁর বাড়ানো। এই সাত বছরে সুনীলের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তের কথা মনে পড়ছে থাপার। তিনি বলেন, “গত সাত বছরে যখনই শিবিরে ওর সঙ্গে কথা হয়েছে, ও আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছে। কী ভাবে নিজের ফিটনেস ঠিক রাখতে হবে সেই পরামর্শ দিয়েছে। সুনীল ভাই সব সময় দলের কথা ভাবে। নিজের থেকে দলকে এগিয়ে রাখে। আমরাও সেটাই করার চেষ্টা করি।”
সুনীলের অবসর ঘোষণার পরে ভারতের ফুটবল কোচ ইগর স্তিমাচ জানিয়েছেন, সুনীলের জন্যই এই ম্যাচ জিততে হবে দলকে। এক মাস ধরে ভুবনেশ্বরে শিবির করে কলকাতায় খেলতে আসবেন সুনীলেরা। ৬ জুনের পরে ১১ জুন কাতারে তাদের বিরুদ্ধে খেলা ভারতের। এই দু’টি ম্যাচই জিততে হবে ভারতকে। তার শুরুটা যুবভারতীতে করতে চান থাপারা। সুনীলের শেষ ম্যাচের আগে প্রতিজ্ঞা করছেন তাঁরা।