চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি। —ফাইল ছবি
রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনার আঁচ পড়তে চলেছে খেলার মাঠেও। দু’দেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে রাশিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল। এমনই জানিয়েছে ইউরোপের ফুটবল নিয়ামক সংস্থা উয়েফা।
পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা সেন্ট পিটার্সবার্গে। কিন্তু রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় বিকল্প কেন্দ্রের কথা ভাবছেন উয়েফা কর্তারা। ২০১৮ বিশ্বকাপের জন্য গড়ে তোলা সেন্ট পিটার্সবার্গের ক্রেসতোভক্সি স্টেডিয়ামে আগামী ২৮ মে হওয়ার কথা ফাইনাল। এই স্টেডিয়ামেই হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের ফাইনাল ম্যাচ। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য রাশিয়া থেকে ফাইনাল সরিয়ে পর্তুগালের পোর্তোয় নিয়ে যায় উয়েফা। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ফাইনালও পর্তুগালের লিসবনে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ইস্তানবুল থেকে। তার পরিবর্তে এবার রাশিয়াকে ফাইনাল আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ফাইনাল হবে ইস্তানবুলে।
আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দুনিয়ার হুঁশিয়ারি অগ্রাহ্য করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের দু’টি অঞ্চল দনেৎস্ক এবং লুহানস্ক (ডনবাস এলাকা)-কে ‘স্বাধীন’ ঘোষণা করেন। এর ফলে পশ্চিম-সমর্থিত ইউক্রেন সরকারের সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্ঘাত শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ব্রিটেন সরকার। উয়েফার একটি সূত্র জানাচ্ছে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল রাশিয়া থেকে সরিয়ে নেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। কিন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। একই সঙ্গে বিকল্প কেন্দ্রের কথাও মাথায় রাখা হচ্ছে।
ইংল্যান্ডের চার ক্লাব ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, ম্যাঞ্চেস্টার সিটি, লিভারপুল এবং চেলসি ফাইনালে ওঠার দৌড়ে রয়েছে। তাই রাশিয়ায় ফাইনাল আয়োজনের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ সরকারের আপত্তি থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পরিস্থিতি তেমন জটিল হলে ওয়েম্বলিতেও হতে পারে ফাইনাল ম্যাচ। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ফাইনাল ওয়েম্বলিতেই হওয়ার কথা। করোনা পরিস্থিতির জন্য গত দু’বছর ম্যাচ অন্যত্র সরানো হলেও সমস্যা হয়নি। এবারও সমস্যা হবে না বলেই মনে করছেন উয়েফা কর্তারা। ২০০৮ সালে প্রথম বার রাশিয়ার মস্কোয় হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল। দ্বিতীয় বারের জন্য এবার ফাইনাল আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল তারা।