নেমারকে নিয়ে কথা বললেন কাফু। ফাইল ছবি
আর ক’দিন পরেই শুরু হতে চলেছে কাতার বিশ্বকাপ। ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে উত্তেজনা। কোন দল ট্রফি জিতবে, কারা চমকে দেবে, এ সব নিয়ে হিসাব-নিকাশ শুরু হয়ে গিয়েছে। কলকাতাও কাঁপছে ফুটবল-জ্বরে। ডার্বির মতো বিশ্বকাপেও এই শহর ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা, এই দু’ভাগে ভাগ হয়ে যায়। বিশ্বকাপের আগে শহরকে তাতিয়ে গেলেন কাফু, যাঁর নেতৃত্বে শেষ বার ট্রফি ঢুকেছিল ব্রাজিলের ঘরে।
কলকাতা পুলিশ এবং ক্রীড়া সংগঠক শতদ্রু দত্তের উদ্যোগে কলকাতায় এসেছেন কাফু। কলকাতা পুলিশের ফ্রেন্ডশিপ কাপের উদ্বোধনের পাশাপাশি একটি প্রদর্শনী ম্যাচও খেলবেন। তার আগে নিউটাউনের একটি হোটেলে শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করলেন। সেখানে কাফু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলার ক্রিকেটার তথা মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি, প্রাক্তন টেনিস খেলোয়াড় লিয়েন্ডার পেজ় এবং প্রাক্তন ফুটবলার আলভিটো ডি’কুনহা। বিশ্বকাপের একটি রেপ্লিকা ছিল কাফুর হাতে। তিনি কথা বললেন পর্তুগিজেই। তা ইংরেজিতে অনুবাদ করে দিলেন আলভিটো।
কাফু শুরুতেই বলে দিলেন, এ বারের বিশ্বকাপে ব্রাজিল চমকে দিতে পারে। এমনকি ট্রফিও জিততে পারে। কারণ দলটা আর নেমার নির্ভরশীল নয়। কাফুর কথায়, “আপনারা যদি চার বছর আগে আমাকে জিজ্ঞাসা করতেন তখন বলতাম দলটা নেমারের উপর দাঁড়িয়ে। এখন আর সেই কথা বলতে পারছি না। কারণ এই দলে ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রদ্রিগো, লুকাস পাকুয়েতা, ফ্রেডের মতো ফুটবলার রয়েছে। ওদের ক্ষমতা রয়েছে ব্রাজিলের হয়ে সেরাটা দেওয়ার। এ বার ব্রাজিল একদম আলাদা দল।”
বিশ্বকাপের সময় বদল হওয়ায় ফুটবলের মান ভাল হবে বলে মনে করছেন কাফু। অন্য বার ক্লাব ফুটবল শেষ হওয়ার পর ক্লান্ত অবস্থায় ফুটবলাররা বিশ্বকাপে খেলতে আসেন। এ বার ক্লাব ফুটবলের মাঝে বিশ্বকাপ পড়ায় ভাল খেলতে পারেন তাঁরা। কাফু বলেছেন, “সাধারণত বিশ্বকাপ জুনে শুরু হয়। এ বার নভেম্বরে হচ্ছে। আগে বিভিন্ন দেশের লিগ শেষ হওয়ার পর ফুটবলাররা দেশের হয়ে খেলতে যেত। ক্লান্ত হয়ে পড়ত। এ বার প্রত্যেকের খেলার মধ্যেই রয়েছে। লিগের মাঝেই দেশের হয়ে খেলতে যাচ্ছে। অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে নামবে সকলে।”