তোরেস-এনরিকের কাহিনি মনে পড়িয়ে দেয় র্যাঞ্চো-ভাইরাসের কথা। ফাইল ছবি
কলকাতায় অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ খেলে গিয়েছেন বছর পাঁচেক আগে। তার পরে ভাল খেলতে থাকায় সহজেই ক্লাবস্তরের দরজা খুলে যায়। বার্সেলোনার ফুটবলার সেই ফেরান তোরেসই বিশ্বকাপের আগে নয়া সমস্যায় পড়েছেন। কোচ লুই এনরিকের মেয়ের সঙ্গে প্রেম করছেন তিনি। সম্প্রতি সেই সম্পর্ক প্রকাশ্যে এনেছেন। তার পর থেকেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলেই ভেসে আসছে ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন। তাতেই বিরক্ত হয়ে পড়ছেন তোরেস।
অনেকেরই এই ঘটনা দেখে মনে পড়ে যেতে বাধ্য বলিউডি সিনেমা ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর কথা। সেখানে কলেজের অধ্যক্ষ বীরু সহস্রবুদ্ধে বা ভাইরাসের মেয়ে পিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন র্যাঞ্চো ওরফে ফুংসুক ওয়াংড়ু। সেই সম্পর্ক নিয়ে কম ঝামেলা পোয়াতে হয়নি তাঁকে। স্পেনের বিশ্বকাপ দলেও সেই একই ঘটনা দেখা যাবে কিনা, তা সময়ই বলবে।
২৩ নভেম্বর কোস্টা রিকার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু তোরেসের। তার আগে রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন তোরেস। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, কোচের মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক কি বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলবে? তোরেসের সপাটে উত্তর, “একেবারেই নয়। কোচ এবং আমি দু’জনেই জানি ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক ব্যাপার খেলার থেকে কী ভাবে আলাদা রাখতে হয়। উনি কোচ, আমি ফুটবলার। আমাদের সম্পর্কটা এখানে পেশাদারদের মতোই। ফলে কোনও সমস্যা হচ্ছে না।”
এনরিকের মেয়ে তথা পেশায় শো-জাম্পার সিরা মার্তিনেসের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন তোরেস। এ বছরই তা প্রকাশ্যে এনেছেন। কিছু দিন আগে কোচ এনরিকেকে প্রশ্ন করা হয়, কোন ফুটবলারকে তিনি মাঠে সবচেয়ে বেশি সময় দেবেন? এনরিকে মজা করে বলেন, “অবশ্যই ফেরান তোরেস। না হলে মেয়ে আমার দিকে তেড়ে এসে গলাটাই কেটে ফেলতে পারে।”
তোরেস এ দিন জানান, কোস্টা রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ একেবারেই সহজ হবে না। তাঁর কথায়, “রক্ষণ ভাল এমন দলের বিরুদ্ধে খেলা সব সময়েই কঠিন। খুব গুছিয়ে খেলে ওরা। তবে আমাদের সামনে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আশা করি সেগুলো পেরোতে পারব।”