জার্মান ফুটবলারদের নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা লেগে গিয়েছে। ফাইল ছবি
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ার পর ভাঙন ধরা পড়েছিল বেলজিয়াম দলে। দেশে ফেরেননি পাঁচ ফুটবলার। এ বার একই জিনিস দেখা গেল জার্মান দলে। তাঁরা দেশে ফিরেছেন ঠিকই। কিন্তু ফুটবলারদের নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা লেগে গিয়েছে। সমস্যার সূত্রপাত প্রথম ম্যাচের আগে ‘ওয়ানলাভ’ আর্মব্যান্ড পরা নিয়ে।
কাতার সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সাতটি দেশ এই আর্মব্যান্ড পরার কথা জানিয়েছিল। শেষ মুহূর্তে প্রত্যেকেই পিছু হটে ফিফার হুঁশিয়ারিতে। তবে জাপানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচের আগে দলের ছবি তোলার সময় প্রতিবাদস্বরূপ জার্মানির ফুটবলাররা মুখ ঢেকে রাখেন। সেই প্রতিবাদ আলোড়ন ফেলেছিল। তবে এখন জানা যাচ্ছে, ফুটবলারদের একাংশ এই কাজ করতে রাজি হননি। যাঁরা রাজি ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে সাজঘরে একপ্রস্থ বাকবিতণ্ডাও হয়।
এক জার্মান টিভি চ্যানেলের সঞ্চালক জার্মানির ফুটবল সংস্থার ডিরেক্টর অলিভার বিয়েরহফকে প্রশ্ন করেছিলেন, আর্মব্যান্ড নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক আরও ভাল ভাবে সামলানো যেত কিনা? বিয়েরহফ বলেন, “আসল ঘটনা হল, আমরা জানতে পেরেছি সব ফুটবলার মুখে হাত ঢেকে প্রতিবাদ জানানোর পক্ষে ছিল না। ওরা মনে করেছিল এতে দলের ভেতরে সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিঃসন্দেহে পরিস্থিতি আরও ভাল ভাবে সামলানো যেত। কিন্তু তার জন্যেই দল ছিটকে গিয়েছে কিনা সেটা আলাদা প্রশ্ন।”
বিয়েরহফ আরও বলেছেন, “আমরা প্রত্যেকেই হতাশ। প্রচণ্ড রেগেও আছি। কারণ, নকআউটে ওঠার ব্যাপারটা আমাদের হাতেই ছিল। প্রথম ম্যাচে হারটা সতর্কবার্তা ছিল। আমরা বুঝতে পারিনি। কাউকে দোষ নেওয়ার নেই। প্রত্যেকেই হয়তো নিজেদের সেরাটা দিয়েছে।”