বিশ্বকাপের আসরে রিচার্লিসনের ফুটবলের পাশাপাশি সৌজন্যের প্রশংসাও করছেন সকলে। ছবি: টুইটার।
দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল। নেমাররা প্রায় একপেশে ম্যাচ জিতেছেন সোমবার। এই ম্যাচেও দেখা গিয়েছে রিচার্লিসনের ফুটবল দক্ষতার ঝলক। ব্রাজিলের তৃতীয় গোলের সময় তাঁর ফুটবল দক্ষতায় বিভ্রান্ত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার রক্ষণ ভাগ। ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বাসের সময়ও হতাশ বন্ধুর কথা ভোলেননি তিনি।
খেলা শেষ হওয়ার পর রিচার্লিসন জড়িয়ে ধরেন দক্ষিণ কোরিয়ার তারকা হিউং মিন সনকে। দু’জনেই খেলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব টটেনহ্যামে। সে সময় বিধ্বস্ত ছিলেন সন। একে বিশ্বকাপ থেকে বিদায়। তার উপর ব্রাজিলের কাছে ১-৪ গোলে হারের ধাক্কা। হতাশ সনের ওই অবস্থা নজর এড়ায়নি রিচার্লিসনের। ছুটে যান প্রিয় সতীর্থের কাছে। আগের ৯০ মিনিটের প্রতিপক্ষকে বুকে টেনে নেন। সনও তাঁকে জড়িয়ে ধরেন। সনের কানে কানে কিছু বলেন রিচার্লিসন। ব্রাজিলের স্ট্রাইকারের এই সৌজন্যের প্রশংসা করছেন সকলেই। সনকে সে সময় কী বলছিলেন রিচার্লিসন? তা নিয়ে তৈরি হয় আগ্রহ। তা অবশ্য জানা যায়নি।
পরে রিচার্লিসন সমাজমাধ্যমেও প্রিয় বন্ধুকে সান্ত্বনা জানিয়ে বার্তা দিয়েছেন। সনকে জড়িয়ে ধরার ছবি দিয়ে রিচার্লিসন লিখেছেন, ‘‘আমি জানি তুমি এখানে পৌঁছানোর জন্য কতটা কঠিন পরিশ্রম করেছ। সে জন্যই তোমার দেশের মানুষের কাছে তুমি এক জন নায়ক।’’
বিশ্বকাপ শেষ হলে দু’জনেই ফিরবেন লন্ডনে। আবার ক্লাবের জার্সি গায়ে পাশাপাশি খেলবেন রিচার্লিসন এবং সন। একসঙ্গে আনন্দে মাতবেন, উৎসব করবেন। আবার দলের ব্যর্থতায় একসঙ্গেই হতাশ হবেন তাঁরা। সারা বছরের সতীর্থ বিশ্বকাপের আসরে প্রতিপক্ষ হলেও তাঁদের বন্ধুত্ব অটুট। ৯০ মিনিটের রেষারেষি শেষ হতেই তাঁরা আবার এক সারা বছরের মতোই। তফাত শুধু জার্সির রঙে।
দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপের শেষ আটে পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। আগামী ৯ ডিসেম্বর শেষ আটের লড়াইয়ে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ লুকা মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়া।