গোলের পর উইঘর্স্ট। ছবি: রয়টার্স
টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালে উঠল আর্জেন্টিনা।
শেষ মুহূর্তে একের পর এক আক্রমণ আর্জেন্টিনার। কর্নার থেকে সরাসরি গোল করার চেষ্টা করেছিলেন দি মারিয়া। সফল হননি। শেষ মুহূর্তে এনজোর শট পোস্টে লাগল।
সংযুক্তি সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে বক্সের বাইরে ফ্রিকিক পেয়েছিল নেদারল্যান্ডস। বার্গুইসের ছোট ফ্রিকিক ধরে বাঁ পায়ের শটে গোল করলেন উইঘর্স্ট।
বক্সের মধ্যে আকুনাকে ফাউল করেন ডেঞ্জিল ডামফ্রিস। পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। এ বার গোল করতে ভুল করেননি মেসি। গোলরক্ষকের বাঁ দিক দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। ফলে ২-০ এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
খেলায় ফিরেছে আর্জেন্টিনা। লিয়োনেল মেসির পায়ে বেশ কয়েক বার বিপদ তৈরি হয় নেদারল্যান্ডসের বক্সে। মেসির পাস থেকে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ম্যাক অ্যালিস্টার। ৬৩ মিনিটের মাথায় ফ্রিকিক পায় আর্জেন্টিনা। মেসির শট একটুর জন্য বাইরে বেরিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক নেদারল্যান্ডস। শুরু থেকেই গোলের খোঁজ করছে তারা। দু’প্রান্ত ব্যবহার করে আক্রমণে উঠছেন গাকপোরা। কিন্তু আর্জেন্টিনার বক্সে সে রকম বিপদ তৈরি হয়নি। অন্য দিকে মাঝে মাঝে প্রতি আক্রমণ থেকে নেদারল্যান্ডসের বক্সে উঠে আসছেন মেসিরা।
গোল করার পরে খেলা অনেক বেশি আক্রমণাত্মক হচ্ছে। আর্জেন্টিনা আরও দু’বার নেদারল্যান্ডসের গোলের কাছে পৌঁছে যায়। মেসির ডান পায়ের শট গোলরক্ষক আটকে দেন। অন্য দিকে প্রথমার্ধের শেষ দিকে তিনটি ফ্রিকিক পায় নেদারল্যান্ডস। কিন্তু সেখান থেকে ফসল তুলতে পারেনি তারা। ফলে প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা।
এগিয়ে গেল আর্জেন্টিনা। প্রায় ৩০ গজ দূরে বল ধরেন মেসি। ঘাড়ের কাছে চার জন ডিফেন্ডারকে নিয়ে সামনের দিকে এগোন। তার পর কোনাকুনি বল বাড়ান বক্সে থাকা মোলিনার দিকে। বল ধরে আগুয়ান গোলরক্ষকের ডান দিক থেকে বল জালে জড়িয়ে দেন মোলিনা।
দু’দলই খেলা তৈরি করছে নিজেদের রক্ষণ থেকে। নিজেদের মধ্যে ছোট ছোট পাসে বলের নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করছে। তার পরে আক্রমণে উঠছে তারা। কিন্তু প্রতিপক্ষের রক্ষণ জমাট থাকায় গোলের সুযোগ তৈরি হচ্ছে না। তাই মাঝে মধ্যে খেলার গতি খুব মন্থর হয়ে যাচ্ছে। দু’দলই প্রতিপক্ষকে টেনে এনে জায়গা তৈরি করার চেষ্টা করছে।
কড়া রক্ষণে রাখা হয়েছে মেসিকে। তিনি বল ধরলেই ফ্রেঙ্কি দি ইয়ংরা এগিয়ে আসছেন। অন্তত তিন জন মিলে তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করছেন। তার মধ্যেই এক বার ছিটকে বেরিয়ে দূর থেকে শট মারেন মেসি। কিন্তু গোল উঁচিয়ে সেই বল বেরিয়ে যায়।
বল নিজেদের দখলে রাখার মরিয়া চেষ্টা করছে দু’দল। নেদারল্যান্ডস দু’প্রান্ত ব্যবহার করে আক্রমণে উঠছে। প্রথম ২০ মিনিটে দু’বার আর্জেন্টিনার বক্সে ঢুকতে পেরেছেন মেম্ফিস ডিপে, কডি গাকপোরা। কিন্তু খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয়নি মার্তিনেসকে। অন্য দিকে থ্রু বলে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করছে আর্জেন্টিনা। দু’বার প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকলেও গোলের মুখ খুলতে পারেননি মেসিরা।
আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের খেলা চলছে। দু’দলই রক্ষণ মজবুত রেখে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করছে। ছোট ছোট পাস খেলছে দু’দল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত গোলের মুখ খুলতে পারেনি কোনও দল।
কোয়ার্টার ফাইনালেও প্রথম একাদশে নেই অ্যাঙ্খেল দি মারিয়া। তাঁকে রিজার্ভ বেঞ্চে রেখেছেন কোচ লিয়োনেল স্কালোনি।