বিশ্বকাপে নজির গড়লেন পর্তুগিজ ডিফেন্ডার পেপে। ছবি: টুইটার।
উরুগুয়ের বিরুদ্ধে মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বকাপের ইতিহাসে নাম তুলে ফেলেছেন পর্তুগালের অভিজ্ঞ ফুটবলার পেপে। প্রথম ম্যাচে ঘানার বিরুদ্ধে তাঁকে খেলাননি পর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো সান্টোস। ড্যানিলো চোট পাওয়ায় দ্বিতীয় ম্যাচে পেপেকে প্রথম একাদশে রাখেন তিনি।
৩৯ বছরের পেপে হলেন বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় বর্ষীয়ান আউটফিল্ড (গোলরক্ষক ছাড়া) ফুটবলার। সব থেকে বেশি বয়সে আউটফিল্ড ফুটবলার হিসাবে বিশ্বকাপ খেলার নজির এখনও ক্যামেরুনের রজার মিল্লার দখলে। ১৯৯৪ সালে আমেরিকায় আয়োজিত বিশ্বকাপে খেলার সময় তাঁর বয়স ছিল ৪২। যদিও দুই গোলরক্ষক আরও বেশি বয়সে বিশ্বকাপ খেলেছেন। ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে খেলার সময় কলম্বিয়ার প্রাক্তন গোলরক্ষক ফরিদ মন্ড্রাগনের বয়স ছিল ৪৩ বছর। ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলার সময় মিশরের গোলরক্ষক এসাম আল-হাদারির বয়স ছিল ৪৫ বছর। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপ খেলা প্রবীণতম ফুটবলার তিনিই।
পর্তুগালের হয়ে ১৩১টি ম্যাচ খেলেছেন পেপে। দেশের হয়ে ৭টি গোল রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের প্রাক্তন ফুটবলারের। ২০১৯ সাল থেকে তিনি খেলছেন পর্তুগালের ক্লাব পোর্তোতে। ২০০৭ সালে রিয়ালে যোগ দেওয়ার আগেই তিন বছর তিনি এই ক্লাবে খেলেছেন। জন্মসূত্রে পেপে অবশ্য পর্তুগিজ নন। তিনি আদতে ব্রাজিলীয় ফুটবলার। ১৯৮৩ সালে ব্রাজিলে জন্ম তাঁর। ফুটবল খেলার জন্য ১৮ বছর বয়সে পর্তুগালে গিয়েছিলেন তিনি। পরে সেখানেই পাকাপাকি ভাবে থেকে যান।
এ বার সান্টোসের বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় প্রথমে ছিলেন না পেপে। বয়সের জন্যই তাঁকে বাদ দিয়ে পরিকল্পনা করার চেষ্টা করেছিলেন পর্তুগালের কোচ। যদিও তা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞ সেন্টার ব্যাককে নিয়েই কাতারে এসেছেন তিনি। বিশ্বের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার বলা হয় তাঁকে।