দল নিয়ে কোথায় গেলেন রোনাল্ডো? ফাইল ছবি
আগের ম্যাচে ঘানার বিরুদ্ধে কোনও মতে জয় পেলেও পর্তুগালের শিবিরে চিন্তার কোনও আভাস নেই। পরের ম্যাচে উরুগুয়েকে হারালেই পরের রাউন্ডের টিকিট কার্যত নিশ্চিত। লুই সুয়ারেসের দল আর আগের মতো শক্তিশালী নয়। বিশ্বকাপে প্রস্তুতির মাঝেই দলকে এক দিনের জন্য অনুশীলন থেকে ছুটি দিয়েছিলেন কোচ ফের্নান্দো স্যান্টোস। তার পরেই সতীর্থদের খাওয়াতে নিয়ে গেলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।
ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে বিতর্ক নিয়ে গত কয়েক দিনে তাঁর উপর দিয়ে যা গিয়েছে, ঘানার বিরুদ্ধে একটি গোল সেই চাপ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। শিবিরেও তাই ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন রোনাল্ডো। ঘানার বিরুদ্ধে গোটা দলকে ঐক্যবদ্ধ দেখিয়েছে। নৈশভোজেও একই ছবি। স্পেনের এক সংবাদপত্রের খবর, আল মাহা আইল্যান্ডের তাতেল দে দোহা রেস্তোরাঁয় সতীর্থদের খাওয়াতে নিয়ে যান রোনাল্ডো। ওই রেস্তোরাঁয় তাঁর এবং টেনিস তারকা রাফায়েল নাদালের কিছু শেয়ার রয়েছে।
রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত খাওয়া-দাওয়া করে পর্তুগাল শিবির। বেনার্দো সিলভা, হোসে সা এবং হোয়াও ক্যান্সেলো ছাড়া সবাই হাজির ছিলেন। এই তিন জন নিজেদের বান্ধবীদের সঙ্গে সময় কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বাকিরা খুশি মনেই নৈশভোজ সারেন। পরে দলের বাস এসে প্রত্যেককে হোটেলে নিয়ে যায়।
ঘানা ম্যাচের পরে গণমাধ্যমে রোনাল্ডো লেখেন, ‘‘বিশ্বকাপের শুরুতেই এই জয় পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কিন্তু এখনও কিছুই পাইনি। সবে প্রথম পদক্ষেপটা করলাম। আমাদের এখন লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের পুরো নজর সেই দিকে। চলো, পর্তুগাল।’’
এর পরে সাংবাদিক বৈঠকে এসে ম্যাচের সেরা ফুটবলারকে গত এক সপ্তাহের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। রোনাল্ডো বলে যান, ‘‘এই এক সপ্তাহের অধ্যায়টা শেষ হয়ে গিয়েছে। আজ আমরা জিতেছি। আর সেই জয়ে আমি কিছুটা সাহায্য করেছি। বাকি আর কিছুর কোনও মূল্য নেই। এই অধ্যায়টা এখন শেষ।’’ রোনাল্ডোর নাম আরও একটা রেকর্ডের সঙ্গে জুড়েছে। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার। এ দিনেরটা নিয়ে সাতটি ‘ম্যাচের সেরা’র পুরস্কার পেলেন পর্তুগালের মহাতারকা।