গোলের পর পাকুয়েতা, নেমারের উচ্ছ্বাস। ছবি: রয়টার্স
এক গোল শোধ দিল দক্ষিণ কোরিয়া। ফ্রিকিক থেকে বল ক্লিয়ার করেছিলেন ব্রাজিলের ডিফেন্ডার। সেই বল সুন্দর রিসিভ করে বাঁ পায়ের জোরালো শটে গোল পাইক সিউং হো।
দুর্দান্ত সেভ অ্যালিসনের। বাঁ দিক থেকে ক্রস করেছিলেন কোরিয়ার ফুটবলার। ডান দিক থেকে আর এক ফুটবলারের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচালেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক মনোভাবের বদল নেই ব্রাজিলের। রাফিনহা দু’-তিন জন ডিফেন্ডারের মাঝখান থেকে শট নিতে গিয়েছিলেন। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে বাঁচিয়ে দিলেন কোরিয়ার গোলকিপার।
বিরতির সামান্য আগে রিচার্লিসন গোলে আরও একটি শট নিয়েছিলেন। কিন্তু কোরিয়ার গোলকিপার বাঁচিয়ে দিলেন। বিরতির আগে আর কোনও গোল হল না।
ছবির মতো ফুটবল খেলছে ব্রাজিল। সাম্বারা যে ভাবে খেলে অভ্যস্ত, ঠিক সেই ছবিই দেখা যাচ্ছে মাঠে। প্রথমার্ধে ম্যাচ শেষ করে দিয়েছে ব্রাজিল। এ বার গোল করলেন লুকাস পাকুয়েতা। বাঁ দিক থেকে ক্রস দিয়েছিলেন ভিনিসিয়াস। সেখান থেকে চলতি বলে শটে গোল পাকুয়েতার।
দুর্দান্ত স্কিল রিচার্লিসনের। মাথায় বল নিয়ে জাগলিং করে সতীর্থদের সঙ্গে অনবদ্য পাস খেললেন। সেখান থেকে সতীর্থের পাস গোল করলেন রিচার্লিসন।
ব্রাজিলের দ্বিতীয় গোলের পরেই একটা সুযোগ পেয়েছিল কোরিয়া। অ্যালিসন প্রচেষ্টা রুখে দেন। বল বেশি ব্রাজিলের নিয়ন্ত্রণেই। কোরিয়া প্রতি আক্রমণে খেলার চেষ্টা করছে।
পেনাল্টি পেয়েছিল ব্রাজিল। রিচার্লিসনকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন দক্ষিণ কোরিয়ার ফুটবলার। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির নির্দেশ দেন। কিপারকে উল্টো দিকে ঠান্ডা মাথায় গোল করলেন নেমার।
দুর্দান্ত আক্রমণে এগিয়ে গেল ব্রাজিল। গোল করলেন ভিনিসিয়ার জুনিয়র। ডান দিকে নেমারকে অসাধারণ পাস দিয়েছিলেন নেমার। বাঁ দিকে বল পান ভিনিসিয়াস। গোল করেই গোটা দলকে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে নাচতে দেখা গেল।