Uruguay

ঘানাকে হারিয়েও বিশ্বকাপ থেকে বিদায় দু’বারের বিশ্বজয়ী উরুগুয়ের, ছিটকে গেলেন সুয়ারেসরা

ঘানাকে গ্রুপের শেষ ম্যাচে হারিয়েও বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল উরুগুয়ে। দু’বারের ট্রফি জয়ী দল হেরে গেল গ্রুপের অন্য ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়া পর্তুগালকে হারিয়ে দেওয়ায়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:৩৬
Share:

বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলেন সুয়ারেসরা। ছবি: রয়টার্স

ঘানাকে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ২-০ গোলে হারিয়েও বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল উরুগুয়ে। দু’বারের ট্রফি জয়ী দল হেরে গেল গ্রুপের অন্য ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়া পর্তুগালকে হারিয়ে দেওয়ায়। রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার মধ্যে শেষ হল ম্যাচ। শেষ দিকে একের পর এক আক্রমণ করেও গোল করতে পারল না উরুগুয়ে। বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলেন লুই সুয়ারেসরা।

Advertisement

লাতিন আমেরিকার দলটি ম্যাচ শুরু করেছিল আক্রমণাত্মক মনোভাবেই। শুরু থেকেই লক্ষ্য ছিল যে ভাবে হোক ঘানার বক্সের গোল ঢোকানো। ম্যাচের প্রথম সুযোগ পেয়েছিল ঘানাই। ১৬ মিনিটের মাথায় বাঁ দিক থেকে আক্রমণ করেছিলেন জর্ডান আয়িউ। সেখান থেকে শট নিয়েছিলেন আন্দ্রে আয়িউ। তবে উরুগুয়ের গোলকিপার সান্দ্রো রশেটের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় মহম্মদ কুদুসের। ভার-এর সাহায্য নিয়ে রেফারি খতিয়ে দেখতে থাকেন কুদুসকে উরুগুয়ের গোলকিপার বাধা দিয়েছেন কিনা।

রিপ্লে-তে দেখা যায় রশেট বাধা দেওয়ার সময় কুদুসের পায়েই বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল। ফলে দেরি না করে ঘানাকে পেনাল্টি দেন রেফারি। সেই সুযোগ অবশ্য কাজে লাগাতে পারেনি ঘানা। রেফারি বাঁশি বাজানোর পর বেশ খানিক ক্ষণ অপেক্ষা করে তার পর শট মারেন আন্দ্রে আয়িউ। রশেট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে অনায়াসে সেই শট বাঁচিয়ে দেন।

Advertisement

পড়ে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেনি উরুগুয়ে। পেনাল্টি বাঁচানোয় আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় অনেকটাই। আক্রমণের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয় তারা। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দু’টি গোল সেটাই প্রমাণ করেন। ২৩ মিনিটের মাথায় জর্জিয়ান দে আরাস্কায়েতার সঙ্গে পাস খেলে আক্রমণে ওঠেন ডারউইন নুনেজ়। ঘানার গোলকিপার আতি-জিগিকে এগিয়ে আসতে দেখে তাঁর মাথার উপর দিয়ে বল তুলে দেন। কিন্তু মহম্মদ সালিসু পিছন থেকে দৌড়ে প্রায় গোললাইনের কাছে এসে বল ক্লিয়ার করে দেন।

তবে এগিয়ে যেতে সময় নেয়নি উরুগুয়ে। ২৬ মিনিটেই প্রথম গোল করে তারা। সুয়ারেস গোল লক্ষ্য করে শট নেন। বাঁচিয়ে দেন আতি-জিগি। ফিরতে বলে গোল করেন আরাস্কায়েতা। এ বারের বিশ্বকাপে এটাই উরুগুয়ের প্রথম গোল হয়। গোল পেয়ে ক্ষুধার্তের মতো আক্রমণে উঠতে থাকে উরুগুয়ের। ছ’মিনিট পরেই দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় তারা। এ বারও গোল করেন আরাস্কায়েতা। ফাকুন্দো পেলিস্ত্রির উঁচু করে ভাসানো বলে নুনেজ় হেডে নামিয়ে দেন সুয়ারেসের উদ্দেশে। সুয়ারেসের পাস পেয়ে গোল করেন আরাস্কায়েতা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এক গোল শোধ করার সুযোগ পেয়েছিল ঘানা। বাবার থেকে পাস পেয়েছিলেন বুকারি। কিন্তু তাঁর ক্রস ঠেকাতে পারেননি কুদুস। দ্বিতীয়ার্ধে উরুগুয়ের একটি পেনাল্টির আবেদন নাকচ করে দেয় ভার। বক্সের মধ্যে নুনেজ়কে ফেলে দিয়েছিলেন ঘানার গোলকিপার। কিন্তু রেফারি পেনাল্টি দেননি। শেষের দিকে খেলা হয় ঘানার বক্সেই। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে তারা। এদিনসন কাভানির দারুণ একটি প্রচেষ্টা বাঁচান ঘানার গোলকিপার। অতিরিক্ত সময়ে ঘানা এবং উরুগুয়ে দু’দলই সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু কেউই গোল করতে পারেনি।

ম্যাচের শেষে ডাগআউটে বসে থাকা সুয়ারেসকে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায়। এটাই ছিল তাঁর শেষ বিশ্বকাপ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement