কাতার বিশ্বকাপে খেলার জন্য প্রায় দু’ডজন জুতো নিয়ে এসেছেন মেসি। ছবি: টুইটার।
ফুটবল বিশ্বকাপে আর দেখা যাবে না লিয়োনেল মেসিকে। আর্জেন্টিনার অধিনায়ক আগেই জানিয়েছেন, কাতারই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। কাতারে মেসির সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া নিশ্চিত না হলেও প্রতিযোগিতা শুরুর আগেই তাঁকে দিয়ে দেওয়া হল সোনার বুট।
অধরা বিশ্বকাপ কি এ বার উঠবে তাঁর হাতে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েক দিন। যদিও বিশ্বকাপ শুরুর আগেই তিনি পেয়ে গিয়েছেন উপহার। কাতারে মেসিকে দেখা যাবে সোনার বুট পায়ে খেলতে। সত্যিই কি সোনার তৈরি? দেখতে তেমন হলেও বুটটি সোনার নয়।
যে ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা মেসির জন্য জুতো তৈরি করে, তারাই বিশেষ জুতোটি তৈরি করেছে। মেসির শেষ বিশ্বকাপকে মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে জুতোটি। সম্পূর্ণ সোনালি রঙের জুতোয় ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ প্রযুক্তি। জুতোটির পোশাকি নাম ‘অ্যাডিডাস এক্স মেসি ২০২২ ওয়ার্ল্ড কাপ স্পিডপোর্টাল বুটস’। এতে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিশেষ ধরনের স্টাড। মেসি দ্রুত গতিতে দৌড়ানোর সময় কোনও সমস্যা হবে না। চকিতে ঘুরলেও দেহের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে এই স্টাডগুলি। বলের সঙ্গে সংযোগ হবে অনেক মসৃণ ভাবে। সুবিধা হবে শট নিতে। জুতোটির নকশা অনেকটা পুরনো দিনের আদলের মতো। সোনালি বুটে লেখা রয়েছে মেসির জার্সি নম্বর ১০। রয়েছে আর্জেন্টিনার নীল-সাদা স্ট্রাইপ। এক জন বিশিষ্ট শিল্পী মেসির জুতোর নকশা করেছেন। বিশ্বকাপ খেলার জন্য মেসিকে সরবরাহ করা হয়েছে প্রায় দু’ডজন বিশেষ জুতো।
বিশ্বকাপ জিততে মরিয়া মেসি নিজেও। বাড়তি পরিশ্রম করছেন অনুশীলনে। শনিবার মেসি অনুশীলনে নামেন বেশ খানিকটা দেরি করে। একা একা অনুশীলন করেন। বল পায়ে, মাথায় নিয়ে নাচালেন। কোচের কথা শুনলেন। কথা বললেন সহকারীর সঙ্গে। শনিবার দুপুরে বাকি দলের শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা হয়। মেসি সেখানে ছিলেন না। আর্জেন্টিনা দলের খবর অনুযায়ী, দলের সেরা ফুটবলারের উপর চাপ কমাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে জল্পনা থামছে না। বুধবারের প্রস্তুতি ম্যাচে তাঁকে স্বাভাবিক ছন্দে দেখা গিয়েছিল। হঠাৎ এমন কী হল যে তিনি অনুশীলন করছেন না বাকিদের সঙ্গে? আর্জেন্টিনার এক সূত্রের খবর, বাকিদের সঙ্গে অনুশীলন করার মতো ফিট নন মেসি। তাই শনিবার আলাদা শরীরচর্চা করতে বলা হয়েছে।
শেষ বিশ্বকাপে মেসির খেলা দেখার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে রয়েছেন তাঁর ভক্তরা। তাঁরা চাইছেন, এ বার বিশ্বকাপ উঠুক মেসির হাতে। সেটাই হবে প্রয়াত দিয়েগো মারাদোনার প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধার্ঘ্য।